আজকাল ওয়েবডেস্ক: সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোর্ডের মসনদে থাকছেন রজার বিনি। গত মাসে ৭০ এ পা দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার। কিন্তু মঙ্গলবার সংসদে ন্যাশনাল স্পোর্টস বিল পেশ হওয়ায় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত সভাপতির ভূমিকা বিনিই থাকছেন। শুধু তাই নয়, যদি বোর্ডের বিভিন্ন রাজ্যের সদস্যরা সহমত হয়, তাহলে আরও পাঁচvবছর বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় থাকতে পারেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। নতুন স্পোর্টস বিল অনুযায়ী, জাতীয় স্পোর্টস ফেডারেশনের কর্তারা ৭৫ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। যা আগে ছিল ৭০। বোর্ডের এক সূত্র জানান, 'সেপ্টেম্বরে বোর্ডের বৈঠক পর্যন্ত রজার সভাপতি থাকবে। নতুন করে আরও পাঁচ বছর তিনি থাকবেন কিনা সেটা নির্ভর করবে বোর্ডের বাকিদের সিদ্ধান্তের ওপর।' 

স্পোর্টস বিলের আওতায় বিসিসিআই। তবে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট বোর্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ তাঁরা সরকারের থেকে কোনও অনুদান নেয় না। বোর্ডের আইনি দল এখনও সদ্য পেশ হওয়ায় স্পোর্টস বিলের নিয়মকানুন বোঝার চেষ্টা করছে। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র বলেন, 'সবে মাত্র স্পোর্টস বিল পেশ হয়েছে। তাই আমাদের এই নিয়ে পড়াশোনা করার একটু সময় আছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনা করতে চাই। বিলের অন্যান্য পয়েন্টও আলোচনা সাপেক্ষে। স্টেকহোল্ডার, সিনিয়র প্লেয়ার, কোচিং স্টাফের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট খেলা হবে।' ২০২২ সালে বোর্ডের সভাপতি হন বিনি। সৌরভ গাঙ্গুলির টার্ম শেষ হওয়ার পর তাঁর জায়গায় রজারকে প্রেসিডেন্ট করা হয়। তখন সচিব ছিলেন জয় শাহ। 

রজার বিনির মেয়াদ ফুরোনোর আগেই নতুন সভাপতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে বোর্ডের অন্দরমহলে। শোনা গিয়েছিল, অন্তর্বতী সভাপতি হতে পারেন রাজীব শুক্লা।‌ জুলাই থেকে তিন মাসের জন্য এই পদে নিযুক্ত হতে পারেন তিনি। সেপ্টেম্বরে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা আছে। সেখানে নির্বাচিত হয়ে নতুন প্যানেল আসবে। স্থায়ী সভাপতি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন রাজীব শুক্লা‌। কিন্তু কোনও অস্থায়ী সভাপতি নিযুক্ত করা হয়নি। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিনিই থাকছেন। প্রসঙ্গত, সৌরভ গাঙ্গুলির উত্তরসূরি হিসেবে ২০২২ সালে বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত হন বিনি। সেই সময় তিনি ছাড়া কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেয়নি। কিন্তু এবার রাজীব শুক্লা ছাড়া কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেবে কিনা জানা নেই। 

বিনির সভাপতিত্বে দুটো সাদা বলের সিরিজ জেতে ভারত। আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে টিম ইন্ডিয়া। তাঁর সভাপতিত্বেই মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়। তাঁর অধীনেই ঘরোয়া ক্রিকেটে একাধিক বদল এসেছে। সিনিয়র প্লেয়ারদের ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেওয়া বেড়েছে। ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন বিনি। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ১৮ উইকেট নেন। বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিসিসিআইয়ের নির্বাচনী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।