আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিদায় বেলায় নিজেও কাঁদলেন। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদেরও কাঁদিয়ে গেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
তিনি নিজেই সরে গেলেন। কারওর থেকে শুনতে হল না, ''কেন সরছেন না?''
ভরা ড্রেসিং রুমে দাঁড়িয়ে আজ থেকে প্রাক্তন হয়ে যাওয়া অফ স্পিনার বললেন, ''আমি কিছুই দেখাচ্ছি না। অত্যন্ত আবেগঘন একটা মুহূর্ত।"
এভাবেই ড্রেসিং রুমে নিজের বিদায়ভাষণ শুরু করেছিলেন। তিনি ধন্যবাদ জানান রোহিত, কোহলি, গম্ভীরকে।
২০১১-১২ মরশুমে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিলেন অশ্বিন। আরও একটা অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথেই সরে গেলেন। অশ্বিন বলছেন, ''এই তো মনে হচ্ছে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া সফর করে এলাম। তার পরে অনেক পরিবর্তন দেখেছি। রাহুল পাজি সরে গেলেন, শচীন পাজিও তাই। বিশ্বাস করো তোমরা, সবার সময় আসে। আমারও এসেছে। দেশের হয়ে প্রতিটা মুহূর্ত দারুণ উপভোগ করেছি। গত ৪-৫ বছর ধরে আমার সঙ্গে সবার দারুণ এক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এই চার বছরের প্রতিটি মুহূর্তে আমি উপলব্ধি করেছি আমাদের সম্পর্ক কতটা মূল্যবান, খেলোয়াড় হিসেবেও তাঁরা কতটা মূল্যবান তা আমি বুঝতে পেরেছি।''
বৃহস্পতিবারই অশ্বিন দেশে ফিরছেন। কিন্তু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির বাকি টেস্ট গুলো তিনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন। রোহিত-বিরাটদের উদ্দেশে অশ্বিন বলছেন, ''আগামিকাল আমি দেশে ফেরার বিমান ধরব। মেলবোর্নে তোমরা কী করছো, কেমন করে খেলছো, সব দেখবো। তোমাদের সবার পারফরম্যান্স আমি দেখবো। আমার মধ্যের যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারটি রয়েছে, সে হয়তো আজ অবসর নিল কিন্তু আমার ক্রিকেট সত্ত্বা একই থেকে যাবে। অনেক শুভেচ্ছা তোমাদের। যদি তোমাদের কোনও দরকার পড়ে, তাহলে আমাকে ফোন করতে ভুলবে না।''
৫৩৭টি উইকেটের মালিক তিনি। ৬টি সেঞ্চুরি রয়েছে। ২০১৬ সালের আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার। আইসিসি-র ক্রমতালিকায় একনম্বর বোলার ছিলেন। সেই তিনিই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখলেন। আর বল হাতে দেখা যাবে না রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। রবির কিন্তু তেজ এখনও ছিল। অস্তমিত হওয়ার সময় এখনই হয়তো ছিল না।
