আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ধামাকাদার প্রত্যাবর্তন। টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ৬৫০ উইকেট তুলে নিলেন রশিদ খান। মঙ্গলবার লর্ডসে দ্য হানড্রেড ২০২৫ এ ওভাল ইনভিনসিবলসের হয়ে লন্ডন স্পিরিটের বিরুদ্ধে এই মাইলস্টোন ছুঁলেন আফগান তারকা। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য মেজর লিগ ক্রিকেটে অংশ নেননি। কিন্তু এদিন মাঠে নেমেই নিজের উপস্থিতির জানান দেন। ২০ বল করে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। স্পিনিং ট্র্যাকের পূর্ণ ফায়দা তোলেন। তাঁর শিকার ওয়েন ম্যাডসেন, রিয়ান হিগিনস এবং লিয়াম ডসন। এই স্পেলের ফলে টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটের অধিকারী হলেন রশিদ। এর আগে বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ লিগে ডোয়েন ব্রাভোকে ছাপিয়ে যান। বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-২০ বোলারের তকমা আদায় করে নেন আফগান স্পিনার।
ইতিহাস গড়ে উচ্ছ্বসিত তারকা ক্রিকেটার। রশিদ বলেন , 'জয় দিয়ে শুরু করতে পেরে ভাল লাগছে। প্রত্যাবর্তনে দলকে সাহায্য করতে পেরে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। আইপিএলের পর শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে। আমি আগের দু'মাসে বল করিনি। তবে গত দশ বছরে যে পরিমাণে ক্রিকেট খেলেছি, সেটা আমাকে সাহায্য করেছে। উইকেট স্পিন সহায়ক ছিল। আমি সঠিক জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করেছি। সেটাই কাজে দিয়েছে। এইধরনের টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতা কাজে দেয়। যেখানে খুব দ্রুত পরিস্থিতি বদলে যায়।' রশিদের পাশাপাশি তিন উইকেট নেন স্যাম করন। মাত্র ৮০ রানে শেষ হয়ে যায় লন্ডন স্পিরিট। অনায়াসে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় রশিদ খানের দল।
প্রসঙ্গত, আইপিএলে নতুন মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন রশিদ খান। তৃতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেট তুলে নেন আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার। পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে গুজরাট টাইটান্সের ওপেনিং ম্যাচে এই রেকর্ড স্পর্শ করেন রশিদ। ১১ রানে হারলেও যশপ্রীত বুমরাকে পেরিয়ে যাওয়ার জন্য এক উইকেটই যথেষ্ট ছিল। ১২২ ইনিংসে ১৫০ উইকেট তুলে নেন। ১২৪ ইনিংসে এই রেকর্ড ছিল বুমরার। রশিদের আগে আছেন যুজবেন্দ্র চাহাল এবং লাসিথ মালিঙ্গা। উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রশিদের বোলিং পরিসংখ্যানও ভাল। আফগান স্পিনারের গড় ২২। তাঁর আগে ১৯.৭৯ গড়ে রয়েছেন মালিঙ্গা। ইকোনমি রেটে একমাত্র রশিদের থেকে এগিয়ে সুনীল নারিন। আইপিএলের ইতিহাসেও সেরা দশ বোলারের মধ্যে থাকবেন রশিদ খান।
