আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বরেকর্ড গড়লেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। টি২০ আন্তর্জাতিকে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ৩ উইকেট পেলেন তিনি। যার ফলে রশিদই এখন আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। ছাপিয়ে গেলেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার টিম সাউদিকে।
ত্রিদেশীয় সিরিজে আমিরশাহির বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান তুলেছিল ১৮৮ রান। জবাবে আমিরশাহিকে মাত্র ১৫০ রানে থামিয়ে দেন রশিদরা। আফগান স্পিনার ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান। ইথান ডি’সুজা, আসিফ খান ও ধ্রুব পানেসরের উইকেট পান তিনি। যার ফলে ৯৮ ম্যাচে ১৬৫ উইকেট হয়ে গেল রশিদের। সেখানে সাউদির উইকেট সংখ্যা ১২৬ ম্যাচে ১৬৪ উইকেট। কিউয়ি পেসার ২০২৪–র শেষ দিকে অবসর নেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় রশিদ ও সাউদির পর আছেন ঈশ সোধি, শাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমানরা। তবে এঁরা প্রত্যেকেই রশিদের থেকে অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ২৬ বছর বয়সি আফগান স্পিনারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট। এখনও পর্যন্ত ১৮টি দেশের বিরুদ্ধে টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন রশিদ। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে কোনও উইকেট পাননি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২২, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৩২ ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৫টি উইকেট রয়েছে। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকার প্রথম দশে কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার নেই।
আরও পড়ুন: কোহলি, হার্দিক নন, ভারতের সবথেকে স্টাইলিশ এই ক্রিকেটার, চমকে দেওয়ার মতো নাম নিলেন গৌতম গম্ভীর...
প্রথম পাঁচে এই মুহূর্তে আছেন রশিদ খান। তিনি ৯৮ ম্যাচে ১৬৫ উইকেট নিয়েছেন। দুইয়ে থাকা সাউদি ১২৬ ম্যাচে ১৬৪ উইকেট নিয়েছেন। তিনে থাকা ঈশ সোধি ১২৬ ম্যাচে ১৫০ উইকেট নিয়েছেন। চারে থাকা শাকিব আল হাসান ১২৯ ম্যাচে ১৪৯ উইকেট নিয়েছেন। আর পাঁচে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ১১৩ ম্যাচে ১৪২ উইকেট নিয়েছেন।
এদিকে, রোহিত, বিরাটদের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে না অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। প্রসঙ্গত, অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সাদা বলের সিরিজ খেলতে যাবে টিম ইন্ডিয়া। সেই সিরিজে খেলার কথা বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার। ভারতের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজের আগে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এক দিনের দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। একটি বিশেষ কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড।
১৯ অক্টোবর থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে তিনটি এক দিনের ম্যাচ ও তার পর পাঁচটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ হবে। সিরিজ শেষ হবে ৮ নভেম্বর। এই আটটি ম্যাচেই পাওয়া যাবে না কামিন্সকে।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কামিন্সের হালকা চোট রয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলার পর নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে অ্যাশেজ সিরিজ। এ বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা। সেখানে ভাল ফল করতে চায় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই সিরিজে সম্পূর্ণ সুস্থ কামিন্সকে চাইছে তারা। সেই কারণেই ভারতের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজে তাঁকে খেলানোর ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না।
