আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র দু'দিনের ব্যবধান। তারমধ্যে হাই ফাইভ এবং হ্যান্ডশেক। যা সচরাচর সম্প্রতি পাকিস্তানের দলের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। প্রথমে ভারতের জুনিয়র হকি দল পাকিস্তানের সঙ্গে 'হাই ফাইভ' করে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হ্যান্ডশেক। লাহোরে প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯৩ রানে হারায় পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের ১০ ম্যাচে জয়ের দৌড় ভেঙে দেয়। তারপর হাত মেলায় দুই প্রতিপক্ষ। কিন্তু সেই সেলিব্রেশনে ছিল বিতর্কের ছোঁয়া। ভারতীয় দলের উদাহরণ টেনে আনেন ধারাভাষ্যের দায়িত্বে থাকা রমিজ রাজা এবং আমির সোহেল। ফের উঠে আসে এশিয়া কাপে হ্যান্ডশেক বিতর্ক। তিনটি ম্যাচের আগে এবং পরে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি সূর্যকুমার যাদবরা। যার রেশ চলে এশিয়া কাপ জয়ের পরও। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর সেই প্রসঙ্গ টানলেন প্রাক্তন পাক তারকা। আমির সোহেল বলেন, 'দুটো দলকে হ্যান্ডশেক করতে দেখে ভাল লাগছে। এটা আজকাল ফ্যাশনের বাইরে চলে যাচ্ছে।'
সোহেলের সঙ্গে সহমত রামিজ রাজা। তাঁর সংযোজন, 'এটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।' লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দাপুটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। ৩৩ রানে ৪ উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। চার উইকেট নোমান আলিরও। দু'জনের দাপটে ১৮৩ রানে প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে টনি ডি জর্জির শতরান এবং রায়ান রিকেলটনের অর্ধশতরানে ২৬৯ রান পৌঁছয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতেও পাকিস্তানের ৩৭৮ রানের স্কোর ছুঁতে পারেনি। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন সলমন আঘা এবং ইমাম উল হক। দু'জনেই ৯৩ রান করেন। অর্ধশতরান শান মাসুদ এবং মহম্মদ রিজওয়ানের। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস মাত্র ১৬৭ রানে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে নোমান আলির ৬ উইকেট প্রোটিয়াদের শেষ করে দেয়।
প্রসঙ্গত, ক্রিকেটে কোনওরকম বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখায়নি ভারতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু হকিতে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার জহর বাহরু সম্পূর্ণ অন্য ছবির সাক্ষী থাকে। সুলতান অফ জহর কাপে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। জুনিয়র হকি টুর্নামেন্টে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর পাকিস্তানের হকি প্লেয়ারদের সঙ্গে 'হাই ফাইভ' করে ভারতীয়রা। যদিও কোনও হ্যান্ডশেক হয়নি দুই দেশের প্লেয়ারদের মধ্যে। কয়েকদিন আগেই সম্পূর্ণ আলাদা ছবি দেখা গিয়েছিল বাইশ গজে। এশিয়া কাপে তিনবার মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। কিন্তু একবারও পাকিস্তানের প্লেয়ারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি সূর্যকুমাররা। এশিয়া কাপ জয় পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় মৃতদের পরিবারকে উৎসর্গ করা হয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের হাত থেকে ট্রফি নিতে চায়নি টিম ইন্ডিয়া। যা নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত।
