আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ হারের পর হার। এরপর টানা দুই ম্যাচ জয়। কলকাতা লিগে জয়ের হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল মহামেডানের সামনে। লক্ষ্য ছিল উয়াড়িকে হারিয়ে অবনমন আতঙ্ক কাটানো। যদিও মহামেডানের পরের স্থানে থাকা দলের কাছে ১–২ ব্যবধানে হেরে জয়ের হ্যাটট্রিকের সুযোগ হারালেন মেহরাজউদ্দিনের ছেলেরা।


এদিন খেলা দেখে মনে হয়নি, আগের দু’টো ম্যাচ জিতে নৈহাটি স্টেডিয়ামে নেমেছিল সাদা–কালো বাহিনী। বেশ কিছুটা অগোছালো ফুটবল খেলে মহামেডান। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উয়াড়িকে এগিয়ে দেন সাকির আলি। এরপর উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দেন পতম বাহাদুর থাপার ছেলেরা। যদিও প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। ১–০ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যান আদিসন, ম্যাক্সিয়নরা।


দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে মহামেডানের জন্য ছবিটা বদলায়নি। উল্টো দিকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ২–০ গোলে এগিয়ে যায় উয়াড়ি। এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে মহামেডান। ৭৫ মিনিটে ব্যবধানও কমায় সাদা–কালো। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। শেষমেশ উয়াড়ির বিরুদ্ধে ১–২ গোলে হেরে যায় মহামেডান। 
এটা ঘটনা, সাদার্ন সমিতিকে হারিয়ে চলতি কলকাতা লিগে প্রথম জয় পেয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পরে শ্রীভূমির বিরুদ্ধে জয়ের সেই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুর ছেলেরা। শক্তিশালী শ্রীভূমিকে ৩–১ গোলে হারিয়ে আরও তিন পয়েন্ট ঘরে তুলে নেয় সাদা–কালো ব্রিগেড। তবে, উয়াড়ির বিরুদ্ধে হেরে টানা তৃতীয় জয়ের লক্ষ্যে নামা মহামেডান হোঁচট খেল। লিগের অপর একটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সাদার্ন সমিতি এবং রেনবো এসি। খেলাটি গোলশূন্য ড্র হয়। 

এদিকে, ডার্বি হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে মোহনবাগান। এবার ফোকাস এএফসিতে। সোমবার থেকে এসিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন হোসে মোলিনা। জাতীয় শিবিরের জন্য ফুটবলার ছাড়ছে না মোহনবাগান। সোমবার লিখিতভাবে সেটা ফেডারেশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, এখন ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার উইন্ডো নয়। তাই প্লেয়ার ছাড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। দ্বিতীয়ত, সামনেই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলবে মোহনবাগান। এর আগে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছেড়ে বিপদে পড়তে হয়েছে। আগের বছর চোট নিয়ে ফেরেন আশিক কুরুনিয়ান, মনবীর সিং। গোটা মরশুম থেকেই ছিটকে যান আশিক। জাতীয় শিবিরে চোট পান শুভাশিস বসুও। দুই মাসের বেশি মাঠের বাইরে। তাই এএফসিতে নামার আগে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। 

জাতীয় সিনিয়র দল এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য মোহনবাগানের মোট ১১ জন এবং ইস্টবেঙ্গলের ৩ জন ফুটবলারকে অবিলম্বে ছাড়ার অনুরোধ জানায় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ডার্বির একদিন আগেই এই বার্তা পাঠানো হয়। মোহনবাগানের সিনিয়র প্লেয়ারদের মধ্যে রয়েছেন অনিরুদ্ধ থাপা, আপুইয়া, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, সাহাল আব্দুল সামাদ, দীপক টাংরি এবং বিশাল কাইথ। অনূর্ধ্ব-২৩ দল থেকে রয়েছেন দীপেন্দু বিশ্বাস, সুহেল ভাট, অভিষেক সূর্যবংশী এবং প্রিয়াংশ। কাউকেই ছাড়া হচ্ছে না। বরং, সোমবার থেকেই এএফসির প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন মোলিনা। ডার্বি হারের পর একদিনও ফুটবলারদের বিশ্রাম দেননি বাগান কোচ। অন্যদিকে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলও। ডার্বি জিতে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে লাল হলুদ। বুধবার ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ। জাতীয় সিনিয়র দলের শিবিরের জন্য আনোয়ার আলি, জিকসন সিং এবং নওরেম মহেশকে ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু ডুরান্ডের জন্য ফুটবলার ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলও।