আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ইতিহাসে মীরাবাঈ চানু। প্রত্যাবর্তনে উজ্জ্বল তিনি। সোমবার কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জিতেছেন তিনি। মহিলাদের ৪৮ কেজি বিভাগে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে মোট ১৯৩ কেজি (৮৪+১০৯ কেজি) ওজন তুলে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছেন।


এটা ঘটনা, ৩১ বছর বয়সি চানু গত বছর প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের পর চোট সমস্যায় ভুগছিলেন। কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন ঘটল তাঁর। আর সেই প্রত্যাবর্তনকে সোনা জয়ের সঙ্গে স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি। যদিও ছ’টির মধ্যে মাত্র তিনটি সফলভাবে লিফট করতে সক্ষম হন চানু। ৮৪ কেজি ওজনের প্রথম স্ন্যাচ তুলতে পারেননি তিনি। ডান হাঁটুতে অস্বস্তির লক্ষণও দেখা যায়। যদিও ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরেন।


এটা ঘটনা, ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ৪৯ কেজির বদলে ৪৮ কেজি বিভাগে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ৪৮ কেজি বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা এবং দু’টি কমনওয়েলথ গেমস পদক জিতেছেন চানু। তবে ২০১৮ সালের পর প্রথমবার তিনি এই ওজন বিভাগে নামলেন টোকিও অলিম্পিকে রুপোর পদকজয়ী ভারোত্তোলক।


টুর্নামেন্টে মালয়েশিয়ার আইরিন হেনরি রুপোর পদক জিতেছেন। তিনি ১৬১ কেজি (৭৩+৮৮ কেজি) ভার তোলেন। ওয়েলসের নিকোল রবার্টস ব্রোঞ্জ জেতেন।

এদিকে, শুরু হয়ে গিয়েছে ইউএস ওপেন। বরিস বেকার, গোরান ইভানিসেভিচ এবং অ্যান্ডি মারের মতো টেনিস খেলোয়াড়কে কোচ হিসাবে পেয়েছেন নোভাক জকোভিচ। এ বার কি সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছেন মনিকা সেলেস? এমনই ইঙ্গিত দিলেন সার্বিয়ান তারকা। ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে সেলেসকে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তবে এটাও স্পষ্ট করেছেন, পাকাপাকি ভাবে সেলেসকে তাঁর কোচ হিসাবে হয়তো দেখা যাবে না।


নোভাকের মতে, তাঁর এখন যা সূচি তাতে পূর্ণ সময়ের কোচের কোনও দরকার নেই। তিনি অস্থায়ী ভাবে কোচ নিয়োগ করতে চলেছেন। সেই কোচ নির্দিষ্ট কিছু প্রতিযোগিতা বা নির্দিষ্ট কোনও টেকনিক নিয়ে কাজ করবেন তিনি।

সার্বিয়ার তারক জকোভিচ বলেছেন, ‘‌আপাতত ওঁর সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। দেখা যাক কী হয়। সময় হলে আপনারা জানতে পারবেন। আপাতত প্রাথমিক কথাবার্তা ছাড়া তেমন কিছুই এগোয়নি। দু’জনেই আবেগের থেকে জায়গাটা দেখছি। উনি আমার কোচ হতে রাজি হলে দারুণ ব্যাপার হবে। এখনই এটা নিয়ে চর্চা করে লাভ নেই।’‌


ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে অবাছাই খেলোয়াড়কে হারিয়েছেন জকোভিচ। তিনি যখন প্রথম বার ইউএস ওপেনে খেলতে নামেন তখন জন্মাননি তাঁর কিশোর প্রতিপক্ষ লার্নার টিয়েন। ১৯ বছরের টিয়েনকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেন জকোভিচ। স্ট্রেট সেটে (৬–১, ৭–৬, ৬–২) জিতলেও জকোভিচকে সমস্যায় ফেলল তাঁর পায়ের যন্ত্রণা। মেডিক্যাল বিরতি নিতে হল তাঁকে। যদিও তাতে খেলার ফলে প্রভাব পড়েনি।


প্রথম রাউন্ডে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে টিয়েনের বিরুদ্ধে নেমেছিলেন জকোভিচ। গত মাসে উইম্বলডন সেমিফাইনালের পর থেকে কোর্টে দেখা যায়নি তাঁকে। কেন দেখা যায়নি, তা বোঝা গেল এই ম্যাচে। মেডিক্যাল বিরতি নিলেন। ডান পায়ে ফোস্কা পড়ে গিয়েছিল। ফলে যন্ত্রণা হচ্ছিল। তার চিকিৎসা করিয়ে আবার খেলতে নামলেন তিনি। একমাত্র দ্বিতীয় সেটেই জকোভিচের বিরুদ্ধে কিছুটা লড়াই করেছিলেন টিয়েন। বাকি দু’টি সেটে দাঁড়াতে পারেননি তিনি।