আজকাল ওয়েবডেস্ক: সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। সঞ্জু রাজস্থান রয়্যালস ছাড়তে চান। এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন ফ্রাঞ্চাইজিকে। এই খবর কানে যেতেই তাঁকে পেতে মরিয়া চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিকে, রাজস্থান চাইছে সঞ্জুকে ছাড়লে তারা চেন্নাই থেকে নেবে রুতুরাজ গায়কোয়াড় বা রবীন্দ্র জাদেজার মধ্যে এক জনকে। কিন্তু চেন্নাই ছাড়তে রাজি হবে?
আইপিএলের মিনি নিলাম এখনও বেশ কিছুটা দেরি। তার আগেই সঞ্জু স্যামসনকে দলে নিতে চাইছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাইয়ে সঞ্জুর যাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না শাহরুখ খানের দল। দুই ক্রিকেটারের নাম তৈরি রেখেছে তারা। তাঁদের এক জনকে সঞ্জুর পরিবর্তে রাজস্থানে বিক্রি করে দিতে চায় কেকেআর।
রাজস্থান থেকে সরাসরি সঞ্জুকে দলে নিতে চায় নাইট রাইডার্স। অর্থাৎ, ‘ট্রেডিং’–এর মাধ্যমে ভারতীয় উইকেটকিপারকে দলে নিতে চায় তারা। ঠিক এ ভাবেই গুজরাট থেকে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সঞ্জুকে চেন্নাইয়ে বিক্রি করে দিতে রাজি রাজস্থান। বিকল্প হিসাবে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, রবীন্দ্র জাদেজা বা শিবম দুবের একজনকে চাইছে তারা। চেন্নাই কোনও ক্রিকেটারকেই বিক্রি করতে রাজি নয়।
কেকেআরের অবস্থান আলাদা। তারা অঙ্গকৃশ রঘুবংশী এবং রমনদীপ সিংয়ের মধ্যে এক জনকে রাজস্থানে বিক্রি করে দিতে রাজি। রাজস্থান কাকে নিতে চায় তার উপর বিষয়টা নির্ভর করছে।
প্রসঙ্গত, উইকেটকিপারের পজিশন নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। গত কয়েক মরসুমে কুইন্টন ডি’কক বা রহমানুল্লা গুরবাজ কেউই ভরসা দিতে পারেননি। একজন ভারতীয় কিপার নিতে চাইছে কেকেআর। মিনি নিলামে তা পাওয়া সম্ভব নয় বুঝেই সঞ্জুকে নেওয়ার জোরদার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তাছাড়া শুধু কিপার সমস্যা মেটানোই নয়, টপ অর্ডারে একজন ভাল ভারতীয় ব্যাটারও দরকার কলকাতা নাইট রাইডার্সের। তাই অঙ্গকৃশের মতো ফর্মে থাকা ক্রিকেটারকেও ছাড়তে রাজি কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট।
এটা ঘটনা, ২০২৫ আইপিএলের সময় থেকেই সঞ্জুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে রাজস্থান রয়্যালসের। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় যে, আইপিএল শেষে রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষকে সঞ্জু স্যামসন দল ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে দেন। রাজস্থানের হয়ে ১১ বছর আইপিএল খেলার পর হঠাৎ কী এমন ঘটল?
ক্রিকেট সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটের দাবি, রাজস্থান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঞ্জুর দূরত্ব সৃষ্টির কেন্দ্রে রয়েছেন জস বাটলার। ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক–ব্যাটারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি সঞ্জুর। দল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিলেন অধিনায়ক। তাঁর অনুরোধ–যুক্তি শোনেননি রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। গত আইপিএল শুরুর আগে সঞ্জু বাটলারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরোক্ষ সমালোচনা করেছিলেন। রাজস্থানের হয়ে সাত বছর খেলা বাটলার দলের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন বলেই মনে করেন সঞ্জু। তিনি বলেছিলেন, ‘বাটলারকে ছেড়ে দেওয়া আমার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্তগুলোর একটা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজের সময় এক দিন রাত্রে খেতে খেতে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। বাটলারকে বলেছিলাম, তখনও ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। আইপিএলের একটা নিয়ম যদি পরিবর্তন করতে পারতাম, তা হলে তিন বছর অন্তর ক্রিকেটার ছেড়ে দেওয়ার নিয়মটা বদলে দিতাম।’ তাঁর এই বক্তব্য ভাল ভাবে নেননি রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। মূলত বাটলারকে ছেড়ে দেওয়া নিয়েই দল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঞ্জুর বিবাদের শুরু। ক্রমে বিভিন্ন বিষয় তাতে যুক্ত হয়েছে এবং সম্পর্ক আরও জটিল ও খারাপ হয়েছে।
