আজকাল ওয়েবডেস্ক: কার্লোস আলকারাজের পর ইউএস ওপেনের ফাইনালে চলে গেলেন শীর্ষবাছাই জানিক সিনার। শীর্ষবাছাই সিনার ৬–১, ৩–৬, ৬–৩, ৬–৪ গেমে হারালেন ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমেকে। ফাইনালে এবার লড়াই এক ও দু’নম্বরের।
 
 তবে প্রথম সেট দেখে মনে হয়েছিল, ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমেকে উড়িয়ে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠবেন সিনার। কিন্তু আদতে তা হয়নি। পিছিয়ে পড়েও লড়াই করলেন আলিয়াসিমে। সিনারকে এক সেটে হারালেনও। এক বারের জন্য হলেও হারের আশঙ্কা ভর করেছিল বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের মাথায়। চোটের সমস্যাও ভোগাল সিনারকে। কিন্তু সেরাদের জন্য একটি সুযোগই যথেষ্ট। সেই সুযোগটাই দিলেন আলিয়াসিমে। চতুর্থ সেটে ডবল ফল্ট করে নিজের সার্ভিস খোয়ালেন। তার খেসারত দিতে হল কানাডার খেলোয়াড়কে। লড়েও হারতে হল। ৩ ঘণ্টা ২১ মিনিটে চার সেটের লড়াই (৬–১, ৩–৬, ৬–৩, ৬–৪) জিতে ফাইনালে সিনার। সেখানে তাঁর অপেক্ষায় কার্লোস আলকারাজ। চলতি বছর ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডনের পর আরও এক গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে সিনার বনাম আলকারাজ। আরও এক বার দেখা যাবে এক বনাম দুইয়ের লড়াই।
আরও পড়ুন: বদলা! জকোভিচকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে ইউএস ওপেনের ফাইনালে আলকারাজ
 
 এক দিকে সিনারের সামনে ছিল টানা পাঁচ গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনাল খেলার হাতছানি। এই ম্যাচের আগে হার্ড কোর্টে টানা ২৬টি ম্যাচ জিতেছিলেন তিনি। অন্য দিকে আলিয়াসিমে প্রথম বার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনাল খেলার লক্ষ্যে নেমেছিলেন। প্রতিপক্ষ সিনার হলেও পরিসংখ্যান ছিল তাঁর পক্ষে। দু’জনের মধ্যে এর আগে তিন বারের সাক্ষাতে দু’বার জিতেছেন আলিয়াসিমে। ফলে কেরিয়ারের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেললেও তিনি যে লড়াই করবেন সেই ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু তিনি সিনারকে এতটা বেগ দেবেন তা বোঝা যায়নি।
 
 খেলার শুরুটা বিশ্বের এক নম্বরের মতোই শুরু করেছিলেন সিনার। প্রথম সেটের দ্বিতীয় গেমেই আলিয়াসিমের সার্ভিস ভাঙেন তিনি। আবার ষষ্ঠ গেমে এক ছবি। সিনারের সার্ভিস ও তাঁর পাওয়ার গেমের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল বিশ্বের ২৫ নম্বরকে। আলিয়াসিমেকে দাঁড় করিয়ে প্রথম সেট জেতেন সিনার।
 
 কিন্তু দ্বিতীয় সেটে বদলে গেল খেলা। হঠাৎ করেই সিনারের সার্ভিস নিষ্প্রভ দেখাতে শুরু করল। উল্টে আলিয়াসিমে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী শট খেলা শুরু করলেন। তার ফলও মিলল। জিতে গেলেন দ্বিতীয় সেট। 
 
 দ্বিতীয় সেটের পর মেডিক্যাল বিরতি নিলেন সিনার। নোভাক জকোভিচের মতো কোর্টে নয়, লকার রুমে চলে যান তিনি। মিনিট তিনেক পরে ফিরলেন। পেটের পেশিতে টান ধরায় সার্ভিসে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর।
 
 ফিরে এসে সিনার ফের পুরনো মেজাজে। আগের মতো সার্ভিস করতে শুরু করলেন। জিতে নিলেন তৃতীয় সেট। এদিকে, তৃতীয় সেটের পর মেডিক্যাল বিরতি নেন আলিয়াসিমেও। এটা ঘটনা, রাতের দিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। সঙ্গে বাড়ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতা। ফলে খেলোয়াড়দের সমস্যা হচ্ছে। অনেক বেশি ঘাম হওয়ায় শরীরে জলের অভাব হচ্ছে। সেখান থেকেই পেশিতে টান ধরছে। সেই কারণেই দুই তারকাকেই মেডিক্যাল বিরতি নিতে হল।
 
 চতুর্থ সেটেও লড়াই হল। কিন্তু শেষমেশ পারলেন না আলিয়াসিমে। ফাইনালে উঠে গেলেন সিনার। 
