আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই ক্রিকেটারের মধ্যে ব্যবধান প্রায় ২৬ বছরের। জিমি অ্যান্ডারসনের বয়স ৪৩। আর ফারহান আহমেদের বয়স ১৭। 

২০০৮ সালে ফারহান আহমেদের জন্ম। ততদিনে জিমি অ্যান্ডারসন খেলে ফেলেছেন ১১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। 'দ্য হান্ড্রেড' টুর্নামেন্টে এই দু'জনের পথচলা শুরু হয়েছে একই দিনে। 

৪৩ বছর বয়সে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ভাল কিছু করতে পারেননি অ্যান্ডারসন। ফারহান অবশ্য অ্যান্ডারসনের মতো অভিজ্ঞ নন। তবুও যে সুযোগ তিনি পেয়েছেন, তাতে মন্দ পারফরম্যান্স নয়। তবে প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি ম্যানচেস্টার অরিজিনালস।

আরও পড়ুন: আইপিএল ভবিষ্যৎ নিয়ে ফ্যানদের উস্কে দিলেন, পরের মরশুমে দেখা যাবে ধোনিকে?...

১০০ বলের ক্রিকেট। তাই নাম ‘দ্য হান্ড্রেড’। ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় সাদার্ন ব্রেভ। ২০ বলে ৩৬ রান খরচ করেন অ্যান্ডারসন। কোনও উইকেট নিতে পারেননি অভিজ্ঞ বোলার। অন্যদিকে ১৭ বছরের ফারহান ৫ বলে দেন আট রান। উল্লেখ্য, রেহান আহমেদের ছোট ভাই  ফারহান।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ১০০ বলে ১৩১ রান করে ম্যানচেস্টার অরিজিনালস। অধিনায়ক ফিল সল্ট ৪১ বলে ৬০ রান করেন। বাকিরাও ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি। জস বাটলার ১৮ বলে ২২ রান করেন। হেনরিক ক্লসেন মাত্র  ১৫ রান করেন ১৬ বলে। বাকিরা সেভাবে রান পাননি। 

সাদার্ন ব্রেভের টাইমাল মিলস ২০ বলে ২২ রান দিয়ে তুলে নেন তিন-তিনটি উইকেট। রান তাড়া করতে নেমে য় সাদার্ন ব্রেভের অভিজ্ঞ জেসন রয় ২২ বলে ৩০ রান করেন। এটাই দলের সর্বোচ্চ।
 
এক সময়ে ১১ বলে ২৬ রান দরকার ছিল সাদার্ন ব্রেভের। হাতে মাত্র ২ উইকেট। শেষ পাঁচ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল চার রান।  গ্রেগরি প্রথম তিন বলে রান দেন কেবল এক। আউট হয়ে যান মিলস। পরের বলেই বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ শেষ করেন রিস টপলি।

শুরুটা ভাল হল না অ্যান্ডারসনের। কিন্তু অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার মনে করেন, তিনি এখনও ২০ বছর বয়সী কোনও তরুণের মতো দৌড়তে পারেন। উল্লেখ্য, ১৭ বছরেই বল হাতে একের পর এক নজির গড়ে চলেছেন ফারহান আহমেদ। কাউন্টি ক্রিকেটে দেখা গিয়েছে ল্যাঙ্কাশায়ারকে দেখলেই যেন আরও বেশি করে জ্বলে ওঠেন এই অফ স্পিনার। গত মরসুমে নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিরুদ্ধে ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। সেই দলের বিরুদ্ধেই হ্যাটট্রিক–সহ ৫ উইকেট নেন। বিশ্বের কনিষ্ঠতম বোলার হিসাবে এই দুই নজির গড়েন তিনি। 

গত মরসুমে ১৬ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ফারহান আহমেদের। প্রথম মরসুমেই নজর কাড়েন তিনি। ইংল্যান্ডের কনিষ্ঠতম বোলার হিসাবে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১০ উইকেট নেন। ল্যাঙ্কাশায়ারের বিরুদ্ধেই এই কীর্তি গড়েছিলেন তরুণ ক্রিকেটার। 

 

আরও পড়ুন: গিল-গম্ভীর 'ক্রাইম' করেছে, ওভালে দুরন্ত জয়ের পরও টিম ম্যানেজমেন্টকে একহাত নিলেন সিধু, কী অপরাধ ভারতের?