আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিন্নাস্বামীতে শেষ ওভারে জেতার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের দরকার ছিল ১৫ রান। যশ দয়ালের ওভারে ওই ১৫ রান তুলে ম্যচ জিততে পারেনি সিএসকে। যশ দয়াল উল্টে ধোনিকে এলবিডব্লিউ করে চেন্নাইয়র উপরে চাপ তৈরি করেন। সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারলেন না সিএসকে-র ব্যাটাররা। 

সেই  যশ দয়াল এখন বলছেন, ধোনিকে আউট করার কোনও ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। তিনি কেবল ঠিক জায়গায় বলটা ফেলতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ''গতবছরে ধোনির উইকেট এবং এবছরের ধোনির উইকটের মধ্যে পার্থক্য বিশেষ নেই।  গতবছর ক্যাচ হয়েছিল, এবার ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ। একটা বিষয় দু'বারই এক ছিল। আর তা হল আমি ঠিক জায়গায় বলটা ফেলতে চেয়েছিলাম। উইকেট নেওয়ার কোনও ইচ্ছাই আমার ছিল না। আমি সৌভাগ্যবান বলা যায় যে উইকেট পেয়ে গিয়েছি।'' 

এদিকে যশ দয়ালের বাবা চন্দ্রপল ছেলের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করেছেন। রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচ ছক্কা আত্মবিশ্বাস তলানিতে পৌঁছে দিয়েছিল যশ দয়ালের। বিরাট কোহলি তাঁকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। আর এতটাই আত্মবিশ্বাসী যশ দয়াল এখন যে চাপের ম্যাচে শেষ ওভার করার জন্য রজত পাতিদার বল তুলে দিচ্ছেন যশ দয়ালের হাতে। আর তিনি সাফল্যের সঙ্গে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখছেন। শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ওভার করেন যশ দয়াল। তিনি ধোনিকে ফেরান। জয়ের জন্য দরকারি ৯ রান করতে দেননি সিএসকে-কে। 

যশ দয়ালের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোহলির ভূমিকা নিয়ে চন্দ্রপল দয়াল বলছেন, ''বিরাট কোহলি খুব সাহায্য করেছে যশকে। যশ আরসিবি-তে যোগ দেওয়ার পরে বিরাট প্রায়ই ওকে নিজের ঘরে ডাকত। কখনও নিজে যেত যশের ঘরে। ২০২৪ সালের ওই ওভার নিয়ে আলোচনা করত। বিরাট একটা কথাই বলেছিল, কঠিন পরিশ্রম করো। ঝড় তুলে দে, আমি তোর পাশে আছি। চিন্তার কারণ নেই, পরিশ্রম করে যেতে হবে। ভুল ভ্রান্তি হবেই, তবে শিখে আগে এগিয়ে যেতে হবে।''