আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেজর লিগ সকারের অল-স্টার ম্যাচে অংশ না নেওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে লিও মেসি ও জর্ডি আলবাকে। রবিবার মেজর লিগ সকারে ইন্টার মায়ামি ও সিনসিনাটির খেলা। সেই ম্যাচে মায়ামির দলে থাকবেন না মেসি ও আলবা। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নেমে এসেছে তাঁদের উপরে।
মেজর লিগ সকরের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে ''চলতি সপ্তাহে মেজর লিগ সকারের অল স্টার ম্যাচে অনুপস্থিত থাকার জন্য সিনসিনাটির বিরুদ্ধে ম্যাচে নামতে পারবেন না ইন্টার মায়ামির জর্ডি আলবা ও লিওনেল মেসি। নিয়ম অনুযায়ী, লিগের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে কোনও খেলোয়াড় যদি অল-স্টার ম্যাচে অনুপস্থিত থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের পরের ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না।''
না খেলার কারণে শাস্তি হিসেবে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ইন্টার মায়ামি তারকা লিওনেল মেসি। সেই নিষেধাজ্ঞার জেরে গত সিনসিনাটির বিরুদ্ধে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
আরও পড়ুন: একসময়ের 'প্রতিপক্ষ' এখন 'বন্ধু', হামিদ ও রশিদের দেখা হয়েছিল আগেই, কে জিতেছিলেন? কেইবা হেরেছিলেন?
মেসিবিহীন সেই ম্যাচে সিনসিনাটির বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছিল মায়ামি। সেদিন মাঠে নামতে না পারায় মেসি ক্ষুব্ধ ছিলেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্রমতে।
সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মায়ামি কোচ হ্যাভিয়া মাসচেরানো। আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার এবার বলছেন, সেই শাস্তি মেসির জন্য একদিকে ভাল হয়েছে।
লিগস কাপে মেক্সিকান ক্লাব অ্যাটলাসের বিরুদ্ধে নামার আগে মাসচেরানো বলছেন, মেসি হয়তো এই ম্যাচে উজ্জীবিত থাকবে। টানা ম্যাচ খেলে চলেছে মেসি। তাঁকে বিশ্রাম দিতেই হত। নতুন করে লিগস কাপ ও এমএলএসের জন্য তৈরি হবে আর্জেন্টাইন তারকা।
মেসিকে নিষিদ্ধ করার কাজটা ছিল খুবই কঠিন। মেজর লিগ সকারকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মেসির মতো সহযোগিতা কেউ করেননি। কেবল মাঠের বাইরে নয়, মাঠের ভিতরেও মেসির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবুও তাঁকে এক ম্যাচের জন্য শাস্তি দেওয়া হল।
মেসি কেন অল স্টার ম্যাচে অংশ নিলেন না, তা বুঝছেন সবাই। কিন্তু অল-স্টার গেমে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। সেই নিয়মই কার্যকর করা হয়েছে মেসির ক্ষেত্রেও। মেসিকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত সব অর্থেই ছিল কঠিন। কিন্তু নিয়ম যেহেতু সবার জন্যই এক, সেই কারণে এলএম ১০-এর উপরে নেমে এল শাস্তির খাঁড়া। টানা খেলে চলেছেন মেসি। সেই কারণে তিনি আর অল-স্টার গেমে নামেননি।



৩০ এপ্রিল থেকে মায়ামির প্রতিটি ম্যাচেই খেলে চলেছেন মেসি। সবক'টি ম্যাচেই তিনি পুরোদস্তুর ৯০ মিনিট খেলেছেন। ১৪ জুন থেকে মেসি মায়ামির জার্সি পরে খেলেছেন ৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপেই খেলেন চারটি ম্যাচ। ২৭ এপ্রিল মায়ামির হয়ে না নামলেও পরবর্তীতে সব ম্যাচেই খেলতে দেখা গিয়েছে মেসিকে।
টানা খেলে যাওয়ার ধকল রয়েছে। এই ৩৮-এও মেসির খেলার প্রতি ইচ্ছা একটুও কমেনি। তিনি প্রতিটি ম্যাচে নামছেন, গোল করছেন, দলকে জেতানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ক্লান্তি বলে কোনও শব্দ নেই তাঁর অভিধানে। রেকর্ড এসে ধরা দিয়ে যাচ্ছে তাঁকে। মায়ামির পরবর্তী ম্যাচগুলোয় তিনি যাতে আরও তরতাজা হয়ে নামতে পারেন, সেই কারণেই অল স্টার ম্যাচে নামেননি মেসি।
এমএলএস অল-স্টার গেমে লিগা-এমএক্স একাদশকে ৩-১ গোলে হারায় এমএলএস একাদশ। সেই ম্যাচেই অল-স্টার একাদশে ডাক পেয়েছিলেন মেসি ও আলবা। কিন্তু খেলা শুরুর আট ঘণ্টা আগে জানা যায় এই ম্যাচে পাওয়া যাবে না দুই তারকাকে। তার জন্যই শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছিল।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে চরম বিতর্ক, নাম প্রত্যাহার করল মূল স্পনসর
