আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইসিসি টুর্নামেন্টে নিউ জিল্যান্ড ইদানীংকালে ভারতকে বেগ দিচ্ছে। ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের কথা অনেকেরই স্মৃতিতে টাটকা। ট্রেন্ট বোল্ট ভারতের স্বপ্নে শুরুতেই দাক্কা দিয়েছিলেন। তার পরে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজার মরিয়া লড়াই। মার্টিন গাপ্তিলের লম্বা থ্রো ধোনির উইকেট ভেঙে দেয়। ভারতেরও স্বপ্নভঙ্গ হয়।
২০১৯ আর ২০২৫-এর মধ্যে প্রায় ৬ বছরের ব্যবধান। সেটা ছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেট। আর এটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু কিউয়িরা ভারতের কাছে ফের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠল। যদিও দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই ম্যাচ ছিল নেহাতই নিয়মরক্ষার। কিন্তু সাত ওভারের মধ্যেই ভারতের তিন তারকা ফিরে গিয়ে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বহুগুণে। কিন্তু ওই স্বংসস্তূপের মধ্যে জ্বলে ওঠেন শ্রেয়স আইয়ার (৭৯)। শেষের দিকে ছোটখাটো ঝড় তোলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (৪৫ বলে ৪৫ রান)। ভারত ৫০ ওভারে করল ৯ উইকেটে ২৪৯ রান। ওয়ানডে ফরম্যাটে এই ২৪৯ রান খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু লড়াই করার মতো রান বটে। নক আউট পর্বে নামার আগে ভারতের ব্যাটারদের পরীক্ষা নিলেন নিউ জিল্যান্ডের বোলাররা। ম্যাট হেনরি পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নেন। তিনিই শুরুতে ভাঙন ধরান ভারতের ইনিংসে।
মঞ্চ তৈরি ছিল বিরাট কোহলির জন্য। পাকিস্তান ম্যাচে শতরান করে ফিরে এসেছে ফর্ম। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে একাধিক রেকর্ড গড়ার সুযোগ ছিল বিরাট কোহলির সামনে। রবিবার কিউইদের বিরুদ্ধে নিজের কেরিয়ারের ৩০০-তম ওয়ানডে খেলতে নেমেছিলেন কিং কোহলি। গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাও। কিন্তু ঐতিহাসিক ম্যাচটা স্মরণীয় হয়ে রইল না। মাত্র ১১ রানেই ফিরতে হল বিরাটকে। ম্যাট হেনরির বলে আউট হলেও উইকেটটা লেখা উচিত গ্লেন ফিলিপসের নামে। এখনকার প্রজন্ম দেখেনি জন্টি রোডসের পাখির মতো উড়ে গিয়ে ক্যাচ। কিউয়ি তারকা গ্লেন ফিলিপস কিন্তু ক্রিকেট নস্ট্যালজিকদের নিয়ে গেলেন রোডসের যুগে। এদিন ফিলিপস শরীরকে ডানদিকে ছুঁড়ে দিয়ে যেভাবে ক্যাচ ধরলেন, তা ভাবতে পারেননি কোহলিও। আউটের পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া সেটাই জানান দিচ্ছিল। গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ মনে করিয়ে দিচ্ছিল সেই আপ্তবাক্য, ক্যাচেস উইন ম্যাচেস।
৩০ রানের মধ্যে ভারতের চলে যায় তিন-তিনটে উইকেট। শুভমান গিল (২), রোহিত শর্মা (১৫) ও বিরাট কোহলির(১১) উইকেট হারানোর পরেও ভারত যে ২৪৯ রানে পৌঁছল তার পিছনে অবদান রয়েছে শ্রেয়স আইয়ারের। তিনি এবং অক্ষর প্যাটেল ৯৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ভারতের ইনিংস গড়ার কাজ করেন এই দুই ব্যাটার। অক্ষর প্যাটেল ৬১ বলে ৪২ রান করেন। রাচীন রবীন্দ্রর বলে অক্ষর ফেরেন। শ্রেয়স ও লোকেশ রাহুল ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শ্রেয়স আইয়ার ব্যক্তিগত ৭৯ রানে ফিরে যান। অবশ্য তিনি আরও কিছুক্ষণ থাকলে ভারতের রান আরও হৃষ্টপুষ্টই হত। লোকেশ রাহুলও (২৩) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
শেষের দিকে হার্দিক পাণ্ডিয়া ভারতকে পৌঁছে দেন লড়াই করার মতো জায়গায়।
