আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ টিম ইন্ডিয়ার পেসার মহম্মদ সিরাজের ওয়ার্কলোড নিয়ে এবার চিন্তাভাবনা শুরু করল ম্যানেজমেন্ট। টিম ম্যানেজমেন্ট দেরিতে হলেও বুঝতে পারছে শুধু জসপ্রীত বুমরা নন, মহম্মদ সিরাজেরও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজন। টিম ইন্ডিয়ার সহকারী কোচ রায়ান টেন দশকাটে বলে দিয়েছেন, ‘‌মহম্মদ সিরাজের মতো বোলার থাকাটা সৌভাগ্যের। তবে ওর ওয়ার্কলোডটাও সযত্নে ম্যানেজ করতে হবে আমাদের।’‌ 


এটা ঘটনা, দু’‌বছর ধরে টানা বল করে চলেছেন সিরাজ। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ, সবচেয়ে বেশি ওভার করেছেন সিরাজ। জসপ্রীত বুমরার পর তিনিই ভারতীয় বোলিংয়ের মূল ভরসার জায়গা। অথচ সেভাবে প্রশংসা পান না সিরাজ। কেউ তাঁকে নিয়ে মাতামাতিও করে না। কার্যত উপেক্ষিতই থেকে গিয়েছেন তিনি। এমনকী ভাবা হয় না তাঁর ওয়ার্কলোড নিয়েও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা তিন টেস্ট খেলার পর অবশেষে বোধোদয় হল টিম ম্যানেজমেন্টের। দশকাটে বলেছেন, ‘‌সিরাজের উপস্থিতি আমাদের বোলিং বিভাগে এনার্জি বাড়িয়ে দেয়। ধারালো করে। ও কখনও ওয়ার্কলোড নিয়ে ভাবেই না। সে কারণেই ওঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করাটা ভীষণ জরুরি।’‌ 

 

আরও পড়ুন:‌ বুমরা খেললেই ভারত নাকি বেশি হারে!‌ অদ্ভুত যুক্তি দিলেন এই প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার


ভারতীয় দলের সহকারী কোচ রায়ান টেন দশকাটে মেনে নিয়েছেন, সিরাজ সবসময় তাঁর প্রাপ্যটা পান না। তিনি বলছেন, ‘‌আমরা মাঝে মাঝেই ভুলে যাই ওকে পেয়ে কতটা ভাগ্যবান। আমি জানি সবসময় ও প্রাপ্য সম্মানটা পায় না। ও সিংহের মতো। ও যখনই বল করতে যায় আমরা জানি কিছু একটা হবে। নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করে।’‌ 


এটা ঘটনা মহম্মদ সিরাজ ২০২৩ সালের পর থেকে ভারতের ২৭টি টেস্টের মধ্যে ২৪টিই খেলেছেন। ভারতীয় পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বল করেছেন তিনিই। বিশ্বের সব পেসারদের মধ্যে বল করার নিরিখে তৃতীয় স্থানে তিনি। সিরাজ ২০২৩ থেকে ৫৬৯.৪ ওভার বল করেছেন। একমাত্র প্যাট কামিন্স (৭২১.১ ওভার) এবং মিচেল স্টার্ক (৬৬৫.১ ওভার) সিরাজের থেকে বেশি বোলিং করেছেন এই সময়ের মধ্যে। 


এদিকে, লর্ডস টেস্টে ১–২ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে ভারত। বুমরা ম্যাঞ্চেস্টারে খেলবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আগেই বলা হয়েছিল ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা ভেবে বুমরাকে তিনটির বেশি টেস্ট খেলানো হবে না। ইতিমধ্যেই দুটি টেস্ট খেলে ফেলেছেন বুমরা। যা পরিস্থিতি তাতে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে বুমরা খেলবেন কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের মধ্যে অনেকটা গ্যাপ থাকায় মনে করা হচ্ছে, ম্যাঞ্চেস্টারে বুমরাকে খেলানো হলেও হতে পারে।

এদিকে ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট। প্রথম একাদশে একাধিক বদলের সম্ভাবনা। করুণ নায়ারকে বসানো হতে পারে। সাই সুদর্শনকে ফেরানো হতে পারে। ওয়াশিংটন সুন্দরকেও বসানো হতে পারে। চলতি সিরিজে প্রথমবার খেলতে পারেন কুলদীপ যাদব। আবার অভিমন্যু ঈশ্বরনের খেলার সুযোগও রয়েছে।

তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন বুমরার খেলা না খেলা নিয়ে। যা পরিস্থিতি তাতে ম্যাঞ্চেস্টারে বুমরাকে খেলানো উচিত বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল। কারণ দল সিরিজে পিছিয়ে। তার উপর ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের আগে বেশ কিছুদিনের বিরতিও রয়েছে।