আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে ক্যাচ ধরো, ম্যাচ জেতো। মরুশহরের মহারণে দু'বার জীবন ফিরে পেয়ে শেষমেশ কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে থামতে হল রাচীন রবীন্দ্রকে।
প্রথমবার তাঁকে ছাড়লেন মহম্মদ সামি। দ্বিতীয় বার শ্রেয়স আইয়ার। ৬.৩ ওভারে সামির বলে সোজা মেরেছিলেন রবীন্দ্র। ফলো থ্রুতে সামি ক্যাচ ধরতে যান। কিন্তু তাঁর বাঁ হাতের আঙুলে বল লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই ফিজিও পৌঁছে যান মাঠে। ভারতীয় পেসারের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করছিলেন রবীন্দ্র। সামির ক্যাচ ছাড়ার সময়ে রবীন্দ্র ব্যাট করছিলেন ২৮ রানে।
সামি সেমিফাইনালেও ক্যাচ ছেড়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা ট্র্যাভিস হেড ও স্টিভ স্মিথের ক্যাচ ফেলেন ভারতের পেসার। ফাইনালেও বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রবীন্দ্রকে ছাড়েন তিনি। পরের ওভারেই ফের ক্যাচ পড়ে রবীন্দ্রর।
দ্রুত গতিতে ব্ল্যাক ক্যাপসরা রান তুলছে। এই পরিস্থিতিতে রানের গতি কমানোর জন্য রোহিত শর্মা আক্রমণে আনেন বরুণ চক্রবর্তীকে। গ্রুপের ম্যাচে এই বরুণ চক্রবর্তীই কিউয়িদের শেষ করে দিয়েছিলেন।
৭.২ ওভারে রাচীন রবীন্দ্র ফের ক্যাচ দিয়েছিলেন। সেই ক্যাচ ছাড়েন শ্রেয়স আইয়ার। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রেয়স আইয়ার কিন্তু দুর্দান্ত ফিল্ডিং করছেন। সেই তিনিই ২১ মিটার দৌড়েও ক্যাচটা ধরতে পারলেন না। তার জন্য হতাশাচ্ছন্ন শ্রেয়স। মাটিতে মুখ ঢাকা দিয়ে শুয়ে ছিলেন কিছুক্ষণ।
উইকেট নেওয়ার জন্য আক্রমণে বরুণকে এনেছিলেন হিটম্যান। নিজের ওভারের শেষ বলে উইল ইয়ংকে ফিরিয়ে দেন বরুণ। অন্যদিকে কুলদীপ ফেরালেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রাচীন রবীন্দ্রকে। কিন্তু তার আগেই যে দুটো ক্যাচ পড়ে তাঁর। অনেক আগেই হয়তো ফিরে যেতে পারতেন তিনি। অবশ্য রাচীন রবীন্দ্র মতো ব্যাটার ফিরে যাওয়ায় স্বস্তিতে ভারতীয় শিবির, তা বলাই বাহুল্য। স্পিনের ঘূর্ণিতে ব্ল্যাক ক্যাপসদের ঘায়েল করার মন্ত্র নিয়েই খেলতে নেমেছে ভারত। বরুণ ও কুলদীপ অধিনায়ক রোহতিকে ভরসা জোগাচ্ছেন।
