আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ দেশের জন্য খেলা। দেশের হয়ে খেলা। নিজের জন্য?‌ এই শব্দ রোহিত গুরুনাথ শর্মার অভিধানে নেই। 
 গুরু মেনে এসেছেন ধোনিকে। তাঁকেই দিয়ে গেলেন গুরুদক্ষিণা। 
মাহি জিতেছিলেন একটা টি২০। একটা ৫০ বিশ্বকাপ। একটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
 রোহিতের ঝুলিতে একটা টি২০। একটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
 ৫০ ওভারটা একটুর জন্যে ফস্কে গেল।
 
ক্যামেরার ঝলকানি। মিডিয়ার হামলে পড়া। কোথাও যেন গুরু শিষ্যকে মিলিয়ে দিয়ে গেল। 
২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর কাপটা নিয়েই ধোনি সেটা সতীর্থদের হাতে চালান করে দূরে চলে এসেছিলেন। রোহিতও ঠিক সেটাই করে গেলেন। এটাই তো প্রকৃত নেতার কাজ। সাফল্যের আনন্দে সতীর্থদের ভাসতে দাও। নেতা থাকো দূরে।

পরিসংখ্যান!‌ রোহিত ১১ হাজারের উপর রান করেছেন। রয়েছে একদিনের আন্তর্জাতিকে তিন তিনটে দ্বিশতরান। শতরান ৩২। অর্ধশতরান ৫৭। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে উঠে আসছে দলের জন্য খেলার কথাই। 


টিম ইন্ডিয়ার হয়ে যেদিন থেকে ওপেন করা শুরু করেছেন। কাজই ছিল ঝড় তোলা। নেতা হওয়ার পরেও এই অভ্যাসে ছেদ পড়েনি। 
যদি ছেদ পড়ত। হয়ত আরও অনেক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে খোদাই থাকত। 


সময় ফুরিয়ে আসছে। বুঝতে পারছিলেন গত কয়েক মাস ধরেই। চারিদিক থেকে ধেয়ে এসেছে সমালোচনা। চেষ্টা করছিলেন দেশকে আর একটা ট্রফি দিয়ে বিদায় নেওয়ার। 
নেতা রোহিত মাঠে রাগ দেখিয়েছেন। তরুণদের পাশে থেকেছেন। বিরাটের সঙ্গে তাঁর ‘‌সম্পর্ক’‌ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু দিন শেষে তিনি প্রকৃত লিডারের কাজটাই করে গিয়েছেন। 
টি২০ ছেড়েছিলেন কাপ জিতেই। ৫০ ওভার জিতলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। 
রোহিত তুমি থাকো।