হংকং-১ ভারত-০
(পেরিরা-পেনাল্টি)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিতে পারত চার-চারটে গোল। হংকংয়ের মাটিতে ছিনিয়েও নিতে পারত জয়। দিনান্তে মানোলো মার্কেজের ভারত মাঠ ছাড়ল ১-০ গোলে হেরে।
কাঠগড়ায় কারা? কে আশিক? সুনীল ছেত্রী? লিস্টন কোলাসো? নাকি গোলকিপার বিশাল কাইথ? শেষবেলায় ভারতের গোলকিপারের মহাভুলে ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে গেল। আইএসএলের পৃথিবীতে কাইথ পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক হয়েছেন। ডার্বিতে ক্লেটন সিলভার পেনাল্টি শুরুতেই থামিয়ে দিয়ে ইস্ট-মোহন ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন। মোহনবাগানের সেই বিশাল কাইথের ভুলেই কিন্তু এদিন পেনাল্টি পেল হংকং।
লম্বা বল ভাসানো হয়েছিল ভারতের পেনাল্টি বক্সে। বিপদের গন্ধ পেয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বিশাল। বলের গতিপথ বুঝতে পারেননি ঠিকঠাক। এদিকে হংকংয়ের মাইকেল উদেবুলুজোরও বল তাড়া করছিলেন। বল বের করে দেওয়ার পরিবর্তে বিশাল এসে সরাসরি মাইকেলের মুখে মেরে বসেন। রেফারি কালক্ষেপ না করে পেনাল্টি দেন হংকংকে। পেনাল্টি বক্স থেকে গোললাইন পৃথিবীর রহস্যময় সরণী। সেই সরণীতে পথ হারালেন না হংকংয়ের পেরিরা। অদ্ভুতভাবে নেওয়া শটে তিনি পরাস্ত করলেন কাইথকে।
ভারতীয় ফুটবলে পরিচিত মুখ অ্যাশলে ওয়েস্টউড। সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি-কে কোচিং করিয়েছেন। ওয়েস্টউডের বেঙ্গালুরুর সঙ্গে ড্র করেই মোহনবাগান আই লিগ এনেছিল ঘরে। সেই ওয়েস্টউড ভারতীয় ফুটবলারদের হাতের তালুর মতো চেনেন।
ভারতীয় ফুটবলের চিরকালীন রোগ থেকে বেরোতে পারলেন না আশিকরা। গোলের সামনে গিয়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলল। হংকং গোলকিপারের সঙ্গে হ্যান্ডশেকের দূরত্বে বল পেয়েও গোল করতে পারলেন না কে আশিক। একবার নয়, দু'বার তিনি গোল করার সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি। একবার প্রথমার্ধে। আরেকবার দ্বিতীয়ার্ধে। মোহনবাগানের এই তারকা ফুটবলার কি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন? আজ তিনিই হতে পারতেন নায়ক।
৫৬ মিনিট পর্যন্ত তিনি মাঠে ছিলেন। আক্রমণভাগে তিনি একা হয়ে পড়ছিলেন। মানোলোর নীতিই ছিল তেমনটাই। আশিককে সামনে রেখে বাকিরা মিলে মরিয়া লড়াই করে যাবেন। চোটের লাল চোখ দেখে আশিক উঠে যাওয়ার পরে মাঠে নামেন ভারতীয় ফুটবলের 'পোস্টার বয়' সুনীল ছেত্রী।
দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সুনীল ছেত্রী নিজেও গোল করে এগিয়ে দিতে পারতেন ভারতকে। পারেননি তিনি। পারেননি লিস্টন কোলাসোও। হিসেব করলে দেখা যাবে চার-চারবার গোল করার মতো ভাল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল ভারত। কিন্তু গোল নষ্টের খেসারত দিতে হল শেষমেশ। আর কাইথ শেষমুহূর্তে ডোবালেন ভারতকে। এই জন্যই বলতে ইচ্ছা করে, বন্যেরা বনে সুন্দর, বিশাল-আশিকরা আইএসএলে।
