আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবা  ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। টানাটানির সংসার। হায়দরাবাদের সেই ঘর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন তারকার উত্থান। 

বাবা নাম্বূরি নাগারাজু। মা গায়ত্রী দেবী। এক সাক্ষাৎকারে তিলকের বাবা নাগারাজু বলেছিলেন, ''আমার কথা ভুলে গেলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু তিলকের স্যরের কথা ভুলবেন না।'' 

তিলককে চিনতে পারেন কোচ সালাম বায়াশ। শুধু খেলা নয়, তিলকের পরিবারের আর্থিক সমস্যাতেও তিনি পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। 

তিলকের বাবা ছেলের গল্প শুনিয়ে একবার বলেছিলেন, ঘুমোতে যাওয়ার সময়েও নাকি তিলক ব্যাট নিয়ে শুতেন। স্বপ্ন দেখতেন। এখন তাঁকে নিয়েই গোটা দেশ স্বপ্ন দেখেন। 

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিলকের ব্যাট গর্জে ওঠে। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দেশকে জেতান তিলক ভার্মাই। ভারতকে জেতানোর মঞ্চে তিনি রেকর্ডও গড়েন। 

দেশের জার্সিতে উজ্জ্বল তিলক ভার্মা। আইপিএলের দৌলতে তিনিই এখন কোটিপতি। পরিবারের খারাপ সময়ও কেটে গিয়েছে। 

২০২২ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁকে ১.৭ কোটি টাকায় দলে নিয়েছিল। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। তিলক ভার্মা নিজের জাত চেনান দক্ষিণ আফ্রিকায়। 

অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের কাছে আবদার করেন তিনি তিন নম্বরে নামবেন। সূর্য নিজের জায়গা ছেড়ে দেন তিলককে। তার পর থেকেই তিলক ভার্মার দুরন্ত ইনিংস চলছেই। 

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অন্য প্রান্ত থেকে যখন একের পর এক উইকেট যাচ্ছিল, তখন আরেক প্রান্তে অবিচল ছিলেন তিলক ভার্মা। রবি বিষ্ণোইকে সঙ্গে নিয়ে তিলক ভার্মা ম্যাচ জেতান দেশকে। তার পরেই সেই বিখ্যাত লাফ। তিলক ভার্মা আকাশ ছুঁতে চান।