আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে, বাপ কা বেটা, সিপাহী কা ঘোড়া...। তনুশ কোটিয়ান সম্পর্কেও এমন কথা বললে অত্যুক্তি করা হবে না।
বরং তাঁর বাবা করুণাকারকেও বুঝি ছাপিয়ে গিয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। বাবাই তাঁর অনুপ্রেরণা। বাবাকে দেখেই ক্রিকেটে আসা। এবার ছেলের পরীক্ষা অস্ট্রেলিয়ায়।
একদিন বাবাকে দেখে ব্যাট-বল ধরেছিলেন তনুশ। ছেলেকে দেখতে নিশ্চয় বাবা টিভি খুলে বসে থাকবেন সাতসকালে।
মুম্বইয়ের টেনিস বল সার্কিটে সুনাম ছিল তনুশের বাবার। বাবা হাত ধরে মাঠে নিয়ে যেতেন ছেলেকে। ক্রিকেট সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটকে এক সাক্ষাৎকারে তনুশ কোটিয়ান বলেছেন, ''ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমি কেবল বাবাকেই দেখেছি।''
বাবাই তাঁর হিরো। বাবাই তাঁর প্রেরণা। করণাকার ফাস্ট বোলার ছিলেন। ব্যাট করতে নামতেন মিডল অর্ডারে। টেনিস বল ক্রিকেটের রাজা বলে ডাকা হত তাঁকে। নিজের দক্ষতাতেই এই নাম অর্জন করেছিলেন করুণাকার। তনুশ বলেছেন, ''ওই পাঁচ ওভারের ম্যাচগুলো খুব আকর্ষণীয় হতো। বাবার খেলা দেখে আমিও টেনিস বল ক্রিকেটে নেমে পড়ি।''
গাইলস শিল্ড এবং হ্যারিস শিল্ডে ডাক পাওয়ার পর লেদার বলে খেলা শুরু করেন তনুশ। একাধিক বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার পর রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক ঘটে ২০১৮-১৯ মরশুমে। তখন তাঁর বয়স ২০।
প্রথম যখন খেলা শুরু করেছিলেন, তখন তিনি ব্যাটার ছিলেন। মাঝে মধ্যে অফ স্পিন বল করতেন। পরবর্তীকালে ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই নজর দেন তিনি। তনুশকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''এখন আমি নিজেকে ব্যাটার বা বোলার মনে করি না। ব্যাটিং করি বা বোলিং, যাই করি না কেন, আমি প্রভাব ফেলার চেষ্টা করি।''
তনুশের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিতর্ক ছিল। ২০২৩ সালের আইপিএল নিলামের আগে রঞ্জি ট্রফিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তনুশ। কিন্তু নিলামের দিন তিনি জানতে পারেন, বিসিসিআই-এর সন্দেহভাজন বোলিং অ্যাকশনের তালিকায় ছিলেন। কীভাবে তাঁর বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক হল, সেই বিষয়ে তনুশের কোনও ধারণাই ছিল না। পরে তাঁর মনে পড়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে ম্যাচ রেফারি তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সে সব নিয়ে আর চিন্তা করেননি তনুশ। তিনি এগিয়ে চলেন। অশ্বিনের বদলি হিসেবে এবার অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন তিনি।
