আজকাল ওয়েবডেস্ক: চতুর্থ টেস্টের আগে বড় ধাক্কা খায় ভারতীয় শিবির। চোটের জন্য ছিটকে যান দুই পেসার আকাশ দীপ এবং অর্শদীপ সিং। নেই নীতিশ কুমার রেড্ডিও। ভারতের প্রাক্তন তারকা সঞ্জয় মঞ্জেরেকর এই বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। জানান, পেসারদের একটানা ফিট থাকা সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সিরিজে ১-২ এ পিছিয়ে ভারত। এই অবস্থায় দু'জন পেসার নেই। বিশেষ করে আকাশ দীপের না থাকা দলকে ভোগাতে পারে। এজবাস্টনে ভারতের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন বাংলার পেসার। কুচকির চোট রয়েছে তাঁর। প্রথমে চতুর্থ টেস্টের দলে রাখা হলেও, মঙ্গলবার শুভমন গিল জানিয়ে দেন, আকাশ দীপকে পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে বেকেনহ্যামে ট্রেনিংয়ে চোট পান অর্শদীপ। পরিবর্ত হিসেবে অংশুল কম্বোজকে দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই চোটের আগেও দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র দুটো টেস্ট খেলেন আকাশ দীপ। তারপর পিঠের চোটে ছিটকে যান। তিন মাস মাঠের বাইরে থাকেন। তারপর সরাসরি আইপিএলে ফেরেন। লখনউ সুপার জায়ান্টসে খেলতে দেখা যায় তাঁকে।
পেসারদের চোট প্রসঙ্গে মঞ্জরেকর বলেন, 'আইপিএল, সাদা বলের ক্রিকেট এবং টেস্ট একসঙ্গে খেলতে হয়। তাই ফাস্ট বোলাররা দীর্ঘদিন ফিট থাকতে পারে না। তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ আকাশ দীপ। এমন না যে গোটা মরশুমে ও প্রচুর বল করেছে। ফিটনেস বা ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট সঠিকভাবে দেখা হয়নি। আমার মনে হয়, এটা একটা গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় পেসাররা দীর্ঘ সময় ধরে ফিট থাকতে পারছে না। এই বিষয়টার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আমরা আইপিএলে তরুণ বোলিং প্রতিভা দেখতে পাই। তবে তিনটে ম্যাচের পর আর তাঁদের দেখা যায় না। এমনকী পরের আইপিএল থেকেও ছিটকে যায়। কাউকে এই বিষয়টার গভীরে যেতে হবে।'
আকাশ দীপের প্রসঙ্গ তুলে এমন মন্তব্য করেন ভারতের প্রাক্তনী। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য মাত্র তিনটে টেস্টে খেলবেন যশপ্রীত বুমরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে পিঠে চোট পাওয়ার পর থেকে তারকা পেসারকে নিয়ে সাবধানতা বজায় রাখছে বোর্ড। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উদাহরণও টানেন মঞ্জরেকর। গত আইপিএলে আশা জাগিয়ে শুরু করেন স্পিডস্টার। কিন্তু চার ম্যাচ পর চোটের জন্য গোটা আইপিএল থেকে ছিটকে যান। শেষ আইপিএলে খেলতে পারেননি। রিকভারির সময় আরও একবার চোটের কবলে পড়েন। যা তাঁর প্রত্যাবর্তন পিছিয়ে দেয়। তারপর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে দলে ফেরেন। কিন্তু আবার সেটব্যাক। নতুন করে চোটের কবলে পড়েন। আইপিএলের নিলামে ১১ কোটিতে বিক্রি হন মায়াঙ্ক। চোট সারাতে বেঙ্গালুরুর জাতীয় অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব সারেন। কিন্তু মাত্র দুটো ম্যাচের পর আবার পিঠের চোটের জন্য ছিটকে যান। মঞ্জরেকর মনে করেন, এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে বোর্ডকে। বের করতে হবে সমাধান সূত্রও।
