আজকাল ওয়েবডেস্ক: গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে মনোজ তিওয়ারির সম্পর্কের তিক্ততা গোপন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাঁর নিশানায় ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। আরও একবার গম্ভীরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। গালিগালাজ করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সে থাকাকালীন একটি ঘটনা তুলে ধরেন মনোজ। যা প্রায় হাতাহাতির পর্যায় চলে গিয়েছিল। জানান, তাঁর সঙ্গে গম্ভীরের কথা কাটাকাটি চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছে যায়। শেষমেষ হস্তক্ষেপ করতে হয় তৎকালীন বোলিং কোচ ওয়াসিম আক্রমকে। মনোজ তিওয়ারি বলেন, 'কোনও নতুন প্লেয়ার উঠলে, তাঁকে খবরের কাগজে জায়গা দেওয়া হয়। হয়তো আমার ওপর রেগে যাওয়ার এটাও একটা কারণ। আমার পিআর টিম থাকলে, আমি আজ ভারতের অধিনায়ক হতে পারতাম। একবার ইডেনে আমার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে আমাদের দু'জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। আমি হতাশ হয়ে বাথরুমে চলে যাই। ও আমাকে তাড়া করে এসে বলে, এমন আচরণ চলবে না। তোমাকে আর কোনওদিন খেলাব না। এইসব বলতে শুরু করে। আমি সরাসরি জিজ্ঞেস করি, কেন এইসব বলছে। আমাকে হুমকি দেয়। ওয়াসিম আক্রম পরিস্থিতি সামাল দেন। ও তখন আমাদের বোলিং কোচ। নয়তো হাতাহাতি হতে পারত।'
শুধু একটি ঘটনা নয়। একাধিকবার দুই তারকার মধ্যে বচসা বাধে। ২০১৫ রঞ্জি ট্রফিতেও ঝামেলায় জড়ান দু'জন। মনোজ দাবি করেন, গম্ভীর মাঠে তাঁকে গালাগালি দেয়। মনোজ বলেন, 'রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ ছিল। আমি ক্রিজে গার্ড নিচ্ছিলাম। স্লিপ থেকে আমাকে গালাগালি দেয়। কারোর এমন কথা ব্যবহার করা উচিত নয়। বা-বোনকে নিয়ে গালি। তারপর বলে, বিকেলে দেখা করো, তোমাকে মারব। তার উত্তরে আমি বলি, বিকেলে কেন, এখনই মারো। আম্পায়ার হস্তক্ষেপ করতে এলে, তাঁকেও ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন গম্ভীর। তারপর ওভার শেষ হয়ে যায়। আমি নন স্ট্রাইকার এন্ডে চলে যাই। ও মিড অফে এসে আবার গালাগালি দিতে শুরু করে। আম্পায়ারের বিশেষ কিছু করার ছিল না। ও বড় প্লেয়ার। ওরা ওকে ভয় পেত।' আগেও একাধিকবার গম্ভীর প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মনোজ।
