আজকাল ওয়েবেডেস্ক: মেলবোর্নে  ১৯ বছর বয়সী স্যাম কনস্টাসের অভিষেক হল। প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়েন তিনি। বুমরাকে র‍্যাম্প শট মেরে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মারেন। স্যাম কনস্টাসের সঙ্গে প্রথমে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন মহম্মদ সিরাজ। পরে বিরাট কোহলি ধাক্কা মেরে বসেন তাঁকে। এর জন্য বিরাটের ম্যাচ ফি-র কুড়ি শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। বাচ্চা ছেলে স্যাম কনস্টাসকে কাঁধ দিয়ে বিরাটের ধাক্কা মারার ঘটনায় বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা বাসিত আলি। তিনি দ্বর্থহীন ভাবে বলে দিয়েছেন, অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট ম্যাচ রেফারি। বিরাটের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। দোষ বিরাটেরই। স্যামের কোনও দোষ ছিল না। বিরাটের যদি কঠিন শাস্তি না হয়, তাহলে বলব পাইক্রফ্টের আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করার ইচ্ছাই নেই। তাঁর ইচ্ছা আইপিএলে ম্যাচ রেফারিং করা। এখন দেখতে হবে ক্রিকেটের জিত হয় নাকি আইপিএলের।''

মেলবোর্নের বিরাট-স্যামের বিতর্ক প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বাসিত আলি টেনে এনেছেন ভারতের কিংবদন্তি শচীন তেণ্ডুলকরকে। বাসিত বলেছেন, ''আমরা কি কাউকে স্লেজিং করিনি? আমাদের বিরুদ্ধে খেলার সময়ে শচীনকেও স্লেজিং করা হয়েছে। কিন্তু ও কিছু বলেনি কোনওদিন। ব্যাটের মাধ্যমে জবাব দিয়েছে। স্যাম কনস্টাসের অভিষেক ঘটিয়ে অস্ট্রেলিয়া চাপ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল ভারতের বোলারদের উপরে। সেই কৌশল একদম খেটে গিয়েছে।'' 

বুমরার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই  র‍্যাম্প শট খেলতে চাইছিলেন স্যাম কনস্টাস। গোড়ায় ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক হচ্ছিল না। কোহলি-বুমরারা হাসছিলেন কনস্টাসের এমন কাণ্ড কারখানা দেখে। বাসিত বলছেন, ''শুরুতে ডিস্কো করছিল স্যাম কনস্টাস। বলের লাইন মিস করছিল। আবার ব্যাট করছিল। আবার মিস করছিল বল। কিন্তু যখন মারতে শুরু করল তখন সবাই বিভ্রান্ত হয়ে গেল। কোহলি-রোহিতরা ওকে বলতেই পারত, আজকের খেলা শেষ হলে আমাকে র‍্যাম্প শট শেখাতে পারো। কিন্তু কোহলি এটা কী করে বসল? ও তো গ্রেট প্লেয়ার। ওর এরকম করাটা একেবারেই উচিত হয়নি।'' 
 
কোহলির কাণ্ড দেখার পরে পাক মুলুক থেকে বলা হচ্ছে কোহলির যদি কড়া শাস্তি না হয়, তাহলে বলতে হবে ক্রিকেটের জিত নয়, আইপিএলের জিত হয়েছে। কোহলির ম্যাচ ফি-র ২০ শতাংশ কাটা হচ্ছে। তাহলে কি বলবেন বাসিত? নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেন না, কেবল আর্থিক জরিমানা। তবে কি আইপিএল জিতে গেল?