আজকাল ওয়েবডেস্ক: সূর্যকুমার যাদবের 'নো হ্যান্ডশেক' আচরণের পর থেকে তোলপাড় বিশ্বক্রিকেট। চারিদিক থেকে প্রতিক্রিয়া আসছে। সূর্যের আচরণে অবাক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং দলের প্লেয়াররা। তবে মহম্মদ ইউসুফের মতো কেউ এতটা নীচে নামতে পারেনি। ১৭,০০০ এর বেশি আন্তর্জাতিক রান রয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন ব্যাটারের। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়, সূর্যকুমারের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। এই মন্তব্য শুনে অবাক হয়ে যায় অ্যাঙ্করও। ক্রমাগত তাঁর ভুল সংশোধন করেন। কিন্তু তাসত্ত্বেও সেই নির্দিষ্ট শব্দ বারবার ব্যবহার করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা।
ইউসুফ বলেন, ''ভারত ওদের সিনেমার জগৎ থেকে বেরোতে পারেনি। যেভাবে ভারত জেতার চেষ্টা করছে, ওদের লজ্জা হওয়া উচিত। আম্পায়ারদের ব্যবহার করে, ম্যাচ রেফারিকে দিয়ে পাকিস্তানকে নির্যাতন করে।'' এরপরই সূর্যকুমারের উদ্দেশে কুমন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: এএফসি-২ খেলতে যাওয়ার আগে সমস্যায় মোহনবাগানের চার বিদেশি, গতবছরের ছবি এবারও ...
ইউসুফের এই মন্তব্যে ক্ষেপে লাল সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে তুলোধোনা করা হয়। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে ইউসুফ লেখেন, ''আমি কোনও স্পোর্টসম্যানকে অপমান করিনি যে নিজের দেশের জন্য খেলে। কিন্তু কেন ভারতীয় মিডিয়া ইরফান পাঠানের প্রশংসা করেছে? যখন ও বলেছিল, আফ্রিদি কুকুরের মতো চিৎকার করছে? তখন তাঁদের শ্রদ্ধা জানানোর কথা মনে হয়নি?''
এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন দেশের প্রাক্তন স্পিনার অমিত মিশ্র। তিনি বলছেন, ''এটাই প্রমাণ করে ওরা কতটা অশিক্ষিত। প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার হয়েও এমন ধরনের মন্তব্য করছে। ননসেন্সের মতো কথা বলে যাচ্ছে। অতীতেও ওরা এমন কাজ করেছে। এখনও করে চলেছে। আর কী বাকি আছে ওদের? ম্যাচ রেফারির বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছে। হ্যান্ডশেক না করা ভারতের সিদ্ধান্ত ছিল। ভারত খেলাধুলাকে সম্মান করে। ওই ধরনের লোকদের কথা শোনার দরকার নেই আমাদের।''
অমিত মিশ্রর সংযোজন, ''আমি ভারতীয় দলের সঙ্গে রয়েছি। দেশের সবাই ভারতীয় দলের পাশে। কোনও ভারতীয় কিংবদন্তি এই ধরনের নোংরা ভাষা প্রয়োগ করেনি। যাঁরা এধরনের মন্তব্য করেছে, তাঁদের আমি ক্রিকেটার বলতেও রাজি নই। ভারত ও পাকিস্তানের চিন্তাভাবনার লেভেলের পার্থক্য এখানেই বোঝা যায়।''
ভারতের পর আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধেও সমস্যায় পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। ১২৮ রানে ৮ উইকেট হারায়। আবারও শেষদিকে জ্বলে ওঠেন শাহিন আফ্রিদি। তাঁর ১৪ বলে ২৯ রান পাকিস্তানকে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৬ রানে পৌঁছে দেয়। কিন্তু বোলারদের দাপটে ৪১ রানে আরব আমিরশাহিকে হারিয়ে সুপার ফোরের ছাড়পত্র সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে উঁচু ক্যাচ ধরতে হার্দিকদের আর সমস্যা হচ্ছে না, এই সমস্যার সমাধান হল কীভাবে জেনে নিন
