আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্মৃতি মান্ধানা-প্রতীকা রাওয়ালরা আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতেছেন। 

সতীর্থদের দুরন্ত জয় বাড়িতে বসে দেখতে হয়েছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের তারকা শেফালি ভার্মাকে। 

ব্যাটে রান নেই, তাই দল থেকে বাদ পড়তে হয় শেফালিকে। কিন্তু একসময়ে শেফালির কথা বলা হচ্ছিল, ভারতের মহিলা ক্রিকেটে তিনিই পরবর্তী বড় ব্যাপার। 

দল থেকে বাদ পড়ার খবর তিনি জানাননি তাঁর বাবাকে। যিনি শেফালির ফ্রেন্ড, ফিলোজফার অ্যান্ড গাইড। কিন্তু কেন জানাননি? শেফালির বাবা তখন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দল থেকে বাদ পড়ার দু'দিন আগে শেফালিকে বাদ দেওয়া হয়েছিল দল থেকে। 

নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে শেফালি ছিলেন দলে। কিন্তু তাঁর ব্যাট কথা বলেনি। ৩৩, ১১ এবং ১২ রান করেন শেফালি। নির্বাচকরা স্থির করেন শেফালিকে দল থেকে বাদ দেওয়া হবে। তাঁর পরিবর্তে প্রতীকা রাওয়ালকে নেওয়া হয়। রাওয়াল সুযোগ পাওয়ার পর থেকে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন। ছ'টি ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও  তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করেন শেফালি। 

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে শেফালি বলেছেন, ''আমি বাবাকে বলতে চাইনি। কারণ দল নির্বাচনের দু'দিন আগে বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। আমার দল থেকে বাদ পড়ার ঘটনা বাবার কাছে লুকিয়ে রেখেছিলাম। বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এক সপ্তাহ পরে বাবাকে বিষয়টা জানাই।'' 

মেয়ের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে গিয়েছেন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলেছেন শেফালি। ১২টি ম্যাচে ৫২৭ ও ৪১৪ রান করেন শেফালি। কোন জায়গায় উন্নতির দরকার সেটা ভালই জানেন শেফালি।