আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওভাল টেস্টের দু’দিন আগে পিচ কিউরেটর লি ফর্টিসের সঙ্গে তীব্র তর্ক হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের। আঙুল উঁচিয়ে তর্ক পর্যন্ত করেছিলেন গম্ভীর। সেই ঘটনা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার ম্যাথু হেডেন বলেছিলেন, ভারতীয় দলের কোচের থেকে আরও ভদ্র আচরণ প্রত্যাশিত। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ব্যাটারকে এবার জবাব দিলেন ১৯৮৩–র বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার দিলীপ বেঙ্গসরকার। হেডেনকে ভণ্ড বলে আক্রমণ করেছেন বেঙ্গসরকার।
এটা ঘটনা, এক সাক্ষাৎকারে হেডেন বলেছিলেন, ‘গম্ভীর নিজের কথা বলেছে। সেটা বলার সম্পূর্ণ অধিকার ওর আছে। কিন্তু আমার মনে হয়, ও আরও একটু ভদ্র ভাবে কথা বলতে পারত। গলার স্বর আরও একটু নামিয়ে কথা বলতে পারত। তা হলে এই বিতর্ক হত না।’ তাঁর এই বক্তব্যে চটেছেন বেঙ্গসরকার। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসাবে কাছ থেকে পিচ দেখার পূর্ণ অধিকার রয়েছে গম্ভীরের। কোনও দল ভারত সফরে এলে কোচ বা অধিনায়ক তো বটেই, প্রায় গোটা দলই পিচ দেখতে চলে যায়। সে দেশের সংবাদমাধ্যমও পিচ পরীক্ষা করে। তাদের কেউ কিছু বলে না। তা হলে ইংল্যান্ডে খেলা হলে নিয়ম কী ভাবে আলাদা হয়!’ এর পরই তিনি হেডেনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটলেও কি হেডেন এই অবস্থানে অনড় থাকবে?’
বেঙ্গসরকার সম্ভবত ক্রিকেট মাঠে অস্ট্রেলীয়দের আগ্রাসী মানসিকতার কথা বলতে চেয়েছেন। হেডেনের মন্তব্যকে ভণ্ডামি বা দ্বিচারিতা হিসাবে চিহ্নিত করতে দ্বিধা করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: ২০৩৬ সালের অলিম্পিক ভারতেই? ধারাবাহিক ভাবে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী...
এদিকে, ভারতের প্রাক্তন উইকেট কিপার সৈয়দ কিরমানির প্রশংসায় ভারতের পেসার মহম্মদ সিরাজ।
কিরমানির আত্মজীবনী ‘স্টাম্পড–বিহাইন্ড অ্যান্ড বিয়ন্ড দ্য টোয়েন্টি টু ইয়ার্ডস’ প্রকাশিত হয়েছে ১০ আগস্ট। উইকেটের পিছনে কিরমানির ভূমিকার কথা প্রশংসা করে সিরাজ বলেছেন, ‘১৯৮৩ সালে আপনারা যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলেন, তখন আমরা কেউই জন্মগ্রহণ করিনি। এটা আপনার জীবনের প্রেরণাদায়ক এবং অনুপ্রেরণার এক গল্প। আমি অনেক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে শুনেছি, উইকেটের পিছনে আপনার ভূমিকা ছিল অসাধারণ। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রতি আপনার এই অবদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ।’
মহম্মদ সিরাজ ম্যাজিক দেখিয়েছেন ওভালে। হায়দরাবাদির আগুনে স্পেলে ভারত সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছে। চতুর্থ দিনে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ফেলেছিলেন সিরাজ। সমালোচনা ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। প্রাক্তনদের তীব্র সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন সিরাজ। সেই সিরাজ এদিন প্রায়শ্চিত্ত করলেন। ক্রিকেট বারবার সুযোগ দেয় না। এক বলের খেলা ক্রিকেট। সেখানে ক্রিকেট আরও একটা সুযোগ দিয়েছিল সিরাজকে। হায়দরাবাদি তারকা সেই সুযোগ দু'হাতে লুফে নেন। ওভালে নিজেকে নিংড়ে দিলেন। তিরিশ ওভার হাত ঘুরিয়ে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিলেন। পঞ্চম দিনের শুরুতে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সাজঘরে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের শেষটাও হল তাঁরই হাতে।
আরও পড়ুন: রোহিত–বিরাটকে নিয়ে আর ভাবতে রাজি নয় বোর্ড! দুই তারকার ক্রিকেট কেরিয়ার তবে শেষ?
