আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডুরান্ড কাপে প্রথম বার খেলতে নেমেই চমকে দিল ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব। ঘরের থেকে বহুদূরে খেলতে নেমে জামশেদপুরকে মাটি ধরাল ডায়মন্ড হারবার। সেই সঙ্গে ডুরান্ড কাপ সেমিফাইনালের পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলল। 

ইস্ট-মোহনের কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে কলকাতা মাতোয়ারা। ডায়মন্ড হারবার বনাম জামশেদপুর ম্যাচ চলাকালীন দেখানো হল মোহনবাগানের টিম বাস যুবভারতীতে পৌঁছে গিয়েছে। ডায়মন্ড হারবার অবশ্য নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল ছিল। রেফারির শেষ বাঁশির পরে ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, ডায়মন্ড হারবার ড্রিমার। কিবু ভিকুনার ছেলেরা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ফুটবলপ্রেমীরা বলছেন, স্বপ্নের এই দৌড় অব্যাহত থাকুক। 

আরও পড়ুন: ধোনিকে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ করা উচিত? গম্ভীরের মিশ্র রেজাল্টে উঠল প্রশ্ন...

ডায়মন্ড হারবারের জয়ের নায়ক কিমা। ৩ মিনিট ও ৪১ মিনিটে কিমা জোড়া গোল করেন। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি জামশেদপুর। সুযোগ অবশ্য এসেছিল জামশেদপুরের কাছেও। কিন্তু তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি জামশেদপুর। 

খেলার ৩ মিনিটে লম্বা থ্রো থেকে বল এলে কিমা বল জড়িয়ে দেন জামশেদপুরের জালে। গোলটি অবশ্য দর্শনীয় নয়। তবে গোল তো গোলই। খেলার ৩ মিনিটের মাথায় কোনও দল যদি গোল করে এগিয়ে যায়, তাহলে তারা ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেয়। ডায়মন্ড হারবার সেই কাজটাই করল। প্রথমে গোল করে ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। ৪১ মিনিটে জামশেদপুরের বক্সে একাধিকবার বল ঘুরে কিমার কাছে এলে তিনি জোরালো শটে গোল করেন। 

রেফারির শেষ বাঁশির পরে ডায়মন্ড হারবার কোচ কিবু ভিকুনাকে বেশ খোশমেজাজে দেখা গেল। তিনি ভাল কাজ করছেন। তাঁর কোচিংয়ে মোহনবাগান আই লিগ জিতেছিল। ডায়মন্ড হারবারের রিমোট কন্ট্রোল এখন তাঁর হাতে। তিনি কলকাতার দলকে নিয়ে যাচ্ছেন সঠিক পথে। সঠিক দিশা দেখাচ্ছেন দলকে। ডুরান্ড কাপে সেটাই দেখা যাচ্ছে। 

এদিনের কোয়ার্টার ফাইনালে ৮ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। খেলা চলাকালীন বৃষ্টি হল মাঠে। সমর্থকরাও ছিল জামশেদপুরের দিকেই। গ্যালারি থেকে উড়ে আসছিল চিয়ার। তবুও ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে পারল না জামেশদপুর। ডায়মন্ড হারবার অকুতোভয় হয়ে ফুটবল খেলল। 

জানমশেদপুর আইএসএলের দল। তাদেরকেই নাকানিচোবানি খাইয়ে দিল কলকাতার দল। ডায়মন্ড হারবারকে থামাতে বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হলেন জামশেদপুরের খেলোয়াড়রা। তবুও থামাতে পারলেন না ডায়মন্ড হারবারকে। শেষলগ্নে ডায়মন্ড হারবারের জালে জামশেদপুর বল জড়ালেও তা নাকচ হয়ে যায়। হ্যান্ড বলের অভিযোগে সেই গোল বাতিল করা হয়। 

আরও পড়ুন: ক্রিকেটের ধারণা বদলে দিচ্ছেন জর্ডন কক্সের মতো ব্যাটারা, রেকর্ড গড়লেন, বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিলেন ...