আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে ইউএস ওপেন। তবে সময়টা ভাল যাচ্ছে না দানিল মেদভেদেভের। পর পর তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যামের প্রথম রাউন্ডে হারতে হয়েছে তাঁকে। সোমবার ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে ফ্রান্সের বেঞ্জামিন বনজির কাছে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে হেরেছেন প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন। হারের ধাক্কার পাশাপাশি শাস্তিও পেয়েছেন তিনি। শাস্তি পেয়ে ক্ষুব্ধ রুশ টেনিস তারকা। সরাসরি আয়োজককে নিশানা করেছেন তিনি।
 
 ম্যাচের মাঝে চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করায় শাস্তি হয়েছে মেদভেদেভের। তাঁকে কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। এর আগে চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করায় রেইলি ওপেলকাকেও শাস্তি পেতে হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন মেদভেদেভ। খেলা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেই দিয়েছেন, ‘আমাকে কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে তা বললে সমস্যায় পড়ব। তাই সেটা বলছি না। এটুকু বলতে পারি, বড় অঙ্কের জরিমানা হয়েছে। রেইলিকেও এই রকম জরিমানা করা হয়েছিল।’
 
 মেদভেদেভের দাবি, তাঁদের মতো খেলোয়াড়কে ভাল চোখে দেখেন না আয়োজকরা। তাই তাঁদেরই শাস্তি পেতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। ওরা আমাদের মতো খেলোয়াড়দেরই শাস্তি দেয়। আমি, কিরগিয়স, বুবলিক, রেইলি। ওরা আমাদের পছন্দ করে না।’ ‘আমাদের মতো’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন তা বলেননি মেদভেদেভ। তবে যাঁদের উদাহরণ তিনি দিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই বিতর্কিত। তাই অনেকেই ভাবছেন, তিনি হয়তো বিতর্কিত খেলোয়াড়দের কথা বলেছেন।
 
 বনজির বিরুদ্ধে প্রথম দুটো সেট হেরে গিয়েছিলেন মেদভেদেভ। তৃতীয় সেটে ৫–৪ এগিয়ে থাকাকালীন সার্ভিস ছিল বনজির। সেই গেম জিতলে স্ট্রেট সেটে মেদভেদেভকে হারিয়ে দিতেন তিনি। বনজির প্রথম সার্ভিস নেটে লাগে। দ্বিতীয় সার্ভিস করার আগে দেখা যায়, কোর্টে থাকা এক ক্যামেরাম্যান কোর্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তা দেখে চেয়ার আম্পায়ারের মনে হয়, খেলার ছন্দ নষ্ট হয়েছে। তাই তিনি বনজিকে আবার প্রথম সার্ভিস নিতে বলেন।
 
 চেয়ার আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি মেদভেদেভ। তিনি তেড়ে যান চেয়ার আম্পায়ারের দিকে। প্রশ্ন করেন, কেন বনজিকে আবার প্রথম সার্ভিস নিতে বলা হল। মেদভেদেভ সমর্থন পান লুই আর্মস্ট্রং স্টেডিয়ামের দর্শকদের। টানা ৬ মিনিট ধরে তাঁরা চেয়ার আম্পায়ারকে বিদ্রুপ করতে থাকেন। তত ক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। মেদভেদেভকে দেখা যায়, হাতের ইশারায় সমর্থকদের তাতাচ্ছেন। এই ঘটনার জন্যই শাস্তি পেয়েছেন মেদভেদেভ।
 
 মেদভেদেভ জানিয়েছেন, ক্যামেরাম্যানের জন্য রাগেননি তিনি। চেয়ার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘ক্যামেরাম্যানের কোনও দোষ নেই। কিন্তু একটা শব্দ হলেই যদি আবার করে প্রথম সার্ভিস করতে বলা হয় তা হলে তো মুশকিল। আমি সেই সিদ্ধান্তটা মানতে পারিনি।’
এদিকে, শুরু হয়ে গিয়েছে ইউএস ওপেন। বরিস বেকার, গোরান ইভানিসেভিচ এবং অ্যান্ডি মারের মতো টেনিস খেলোয়াড়কে কোচ হিসাবে পেয়েছেন নোভাক জকোভিচ। এ বার কি সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছেন মনিকা সেলেস? এমনই ইঙ্গিত দিলেন সার্বিয়ান তারকা। ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে সেলেসকে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তবে এটাও স্পষ্ট করেছেন, পাকাপাকি ভাবে সেলেসকে তাঁর কোচ হিসাবে হয়তো দেখা যাবে না।
