আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠেছেন ব্রেন্ডন টেলর। এবার অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার পালা। সেই পথে একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দলে প্রাক্তন অধিনায়ককে রেখেছে জিম্বাবোয়ে।
গত ২৫ জুলাই শেষ হয়েছে টেলরের নিষেধাজ্ঞা। ক্রিকেটে ফিরতে আর কোনও বাধা নেই তাঁর। বুলাওয়ায়োতে আগামী ৭ আগস্ট শুরু হবে নিউ জিল্যান্ড-জিম্বাবোয়ের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
কিউইদের বিরুদ্ধে দু' ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য এরই মধ্যে ১৬ জনের দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবোয়ে। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য দলে যোগ করা হয়েছে ৩৯ বছর বয়সী টেলরকে। জিম্বাবোয়ের বর্তমান অধিনায়ক ক্রেগ আরভাইন অবশ্য আগেই নিশ্চিত করেছিলেন তা।
“দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্যই পাওয়া যাবে টেলরকে। আমি জানি, দলে ফেরার জন্য ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় সে কতটা পরিশ্রম করেছে। বিশেষ করে গত ৮, ১০ বা এক বছর ধরে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে টেলরকে দলে ফিরে পেতে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। সতীর্থদের পাশাপাশি দলের প্রতি টেলর কী অবদান রাখে, সেটা দেখতে মুখিয়ে আছি।”
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান টেলর। এর চার মাস পরই আসে তাঁর নিষেধাজ্ঞার খবর। প্রথমে কোচিং করার কথা ভেবেছিলেন টেলর। কিন্তু তাঁকে অবসর ভেঙে আবারও দেশের হয়ে মাঠে ফিরতে রাজি করান জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিভমোর মাকোনি। মূলত ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে দলে রাখতে চায় জিম্বাবোয়ে। জিম্বাবোয়ে ও নামিবিয়ায় যৌথভাবে হবে টুর্নামেন্টটি।

দীর্ঘ সময় পরে মাঠে ফিরতে হলে প্রস্তুতির দরকার ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার শর্ত অনুযায়ী, এই সময়ে কোনও স্বীকৃত ক্রিকেট তো খেলতেই পারতেন না টেলর, এমনকী ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে অনুশীলনও করতে পারতেন না তিনি। তাই হারারেতে একটি অভিজাত স্কুলের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।
২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তিনটি ফরম্যাট মিলিয়ে জিম্বাবোয়েকে নেতৃত্ব দেন টেলর। প্রথম দফায় জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ছিলেন ২০১১-এর মাঝমাঝি থেকে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর তিনি জাতীয় দল থেকে সরে গিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে আবার ফেরেন জাতীয় দলে। এরপর অবসর ও নিষেধাজ্ঞা। আবার তিনি ফিরছেন। নিষেধাজ্ঞার লাল চোখ কাটিয়ে আবার যে মাঠে ফেরা যায় এবং প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক ম্যাচে জায়গা করে নেওয়া যায়, তা ব্রেন্ডন টেলরের থেকেই শিখতে হয়।
আরও পড়ুন: কাকে দশকের সেরা ক্রিকেটার বাছলেন শাস্ত্রী? জেনে নিন নামটা
