আজকাল ওয়েবডেস্ক: চতুর্থ টেস্টে খেলবেন যশপ্রীত বুমরা? বর্তমানে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বার্মিংহ্যামে প্রথম টেস্ট হারের পর এজবাস্টনে খেলানো হয়নি তারকা পেসারকে। আবার লর্ডসে খেলানো হয়। তৃতীয় টেস্ট হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হারলেই সিরিজ হার। এই অবস্থায় চতুর্থ টেস্টে কি খেলতে দেখা যাবে বুমরাকে? প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার দীপ দাশগুপ্ত মনে করছেন, বুমরাকে চতুর্থ টেস্টে খেলানো উচিত। ভারত ১-২ এ সিরিজে পিছিয়ে পড়ায় চতুর্থ টেস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে বিসিসিআই জানিয়ে দেয়, পাঁচের মধ্যে তিনটে টেস্ট খেলবেন তারকা পেসার। সাংবাদিক সম্মেলনে সেটা সরাসরি জানিয়ে দেন গম্ভীর। দীপ মনে করছেন, পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ টেস্টে খেলা উচিত বুমরার। পরের টেস্টের আগে আট দিনের বিরতি রয়েছে। যা রিকভারির জন্য যথেষ্ট। একইসঙ্গে জানান, ভারত ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হেরে গেলে শেষ টেস্টের কোনও গুরুত্ব থাকবে না।
দীপ বলেন, 'যশপ্রীত বুমরার অবশ্যই চতুর্থ টেস্টে খেলা উচিত। আমি শুনেছিলাম, ওকে প্রথম, তৃতীয় এবং পঞ্চম টেস্টে খেলানো হতে পারে। কিন্তু ভারত যখন পিছিয়ে পড়েছে, চতুর্থ টেস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশ্বের সেরা বোলারকে অবশ্যই খেলানো উচিত। দুই টেস্টের মধ্যে আট দিনের বিরতি আছে। চতুর্থ টেস্টে হেরে গেলে আর পঞ্চম টেস্টের কোনও গুরুত্ব থাকবে না। বর্তমানে আসন্ন টেস্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।' এদিকে শুভমন গিলের মধ্যে বিরাট কোহলির ছায়া দেখছেন মঈন আলি। তবে তিনি মনে করেন, তরুণ অধিনায়কের এই আচরণ তাঁদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। যা ইংল্যান্ডকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে। ২০১৮ সালে একই ভেন্যুতে আগ্রাসীভাবে সেলিব্রেট করেছিলেন কোহলি। লর্ডসে তেমনই আচরণ দেখা যায় গিলের মধ্যে। এই প্রসঙ্গে মঈন বলেন, 'আমার মনে হয়, এটা হতেই পারে। আমার মতে ও লড়াকু মনোভাব দেখাতে চাইছে। যা বিরাট কোহলির সমতুল্য। তবে এইভাবে ও বিপক্ষকে তাতিয়ে দেয়। তাঁদের সেরাটা দিতে সাহায্য করে। লড়াইয়ে ফেরায়। ওরা সংঘবদ্ধ হয়ে ঝাঁপায়।'
একই মত পোষণ করেন মহম্মদ কাইফও। আগের দিন তিনিও জানান, শুভমন গিলের এই আচরণ ইংল্যান্ডকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কাইফ লেখেন, 'জ্যাক ক্রলির সঙ্গে শুভমন গিলের লড়াই ইংল্যান্ডকে চাগিয়ে দেয়। এজবাস্টনের পর ওদের ব্যাটিং, বোলিং এবং নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এই ঘটনা স্টোকসকে উত্তেজিত করে তোলে। দারুণ স্পেল করে। আচরণ বদলানো কখনও উচিত নয়। যে আচরণ কার্যকরী হয়, সেটাই রাখা উচিত। এভাবেই গিল এটা শিখে যাবে।' হারের জন্য ভারত অধিনায়কের আচরণকে দায়ী করেন প্রাক্তনী। শুনে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চমকে দেওয়ার মতো মন্তব্য করেন কাইফ। দাবি করেন, জ্যাক ক্রলির সঙ্গে গিলের ঝামেলা ইংল্যান্ডকে একপ্রকার ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। তারপরই অসাধারণ স্পেল করেন বেন স্টোকস। যা আয়োজকদের লর্ডস টেস্ট জিততে সাহায্য করে।
