আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিরতি চান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে এই অনুরোধ করেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। তা মেনে নেওয়া হল।
আগামী ছ’মাস শ্রেয়সকে লাল বলের কোনও ধরনের ক্রিকেটে দেখা যাবে না। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই। এমনকি রঞ্জি ট্রফির প্রথম পর্বেও না দেখা যেতে পারে।


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে, ‘‌লাল বলের ক্রিকেট থেকে অন্তত ছ’মাসের বিশ্রাম চেয়ে শ্রেয়স আইয়ার বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। ইংল্যান্ডে পিঠের অস্ত্রোপচার করানোর পর শ্রেয়সের রিকভারি ভালই হয়েছে। তবে সম্প্রতি আবার লাল বলের ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে পিঠের ব্যথা ফিরে এসেছে তাঁর। শ্রেয়স চাইছেন মাঝের এই সময়ে শরীরের সহনশীলতা ও শক্তি বাড়াতে এবং ফিটনেসের উপরে জোর দিতে। তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ইরানি কাপের দলে নেওয়া হয়নি।’‌ তবে অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে শ্রেয়সকে ভারত এ–র নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে।


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় চার দিনের টেস্ট শুরুর আগে দল থেকে সরে দাঁড়ান শ্রেয়স। অথচ তিনিই ছিলেন ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক। দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সে দিনই লখনউ থেকে মুম্বই ফেরেন শ্রেয়স। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ফিটনেস সংক্রান্ত সমস্যার জন্য কিছু দিনের জন্য বিশ্রাম চেয়েছেন শ্রেয়স। শরীরের পিছনের অংশের পেশি শক্ত হয়ে যাচ্ছে শ্রেয়সের। রয়েছে অস্বস্তি। এই মুহূর্তে লাল বলের ক্রিকেটের ধকল নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন শ্রেয়স। তিনি সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচকদেরও। গত রঞ্জি ট্রফির সময় থেকেই এই সমস্যায় ভুগছিলেন শ্রেয়স। টানা চার দিন ফিল্ডিং করতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেও চার দিন টানা মাঠে থাকতে পারেননি। তাই লাল বলের ক্রিকেট থেকে কিছু দিন বিশ্রাম চেয়েছিলেন বোর্ডের কাছে।


বোর্ডের এক কর্তা বলেছিলেন, ‘শ্রেয়স লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম চেয়েছে। সমস্যার কথা পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছে। এটা খুব ভাল। এতে নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। শ্রেয়স জানিয়েছে, কিছু দিন পর শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে এবং ফিজিও–ট্রেনারের পরামর্শ নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানাবে।’