আজকাল ওয়েবডেস্ক: এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪০৭ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসের শেষে ১৮০ রানে পিছিয়ে বেন স্টোকসরা। ইংল্যান্ডের ফলো অন বাঁচালেন জেমি স্মিথ। ইনিংস শেষে ২০৭ বলে ১৮৪ রানে অপরাজিত। ইনিংসে রয়েছে ৪টি ছয় এবং ২১টি চার। এজবাস্টনে তৃতীয় দিনের শুরুতে মহম্মদ সিরাজের বলে কুপোকাত জো রুট এবং বেন স্টোকস। ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ফলো অন অবধারিত। এই অবস্থায় উইকেটে শিকড় গেঁথে ফেলেন হ্যারি ব্রুক এবং জেমি স্মিথ। মধ্যাহ্নভোজের আগে শতরান সম্পূর্ণ করেন ব্রিটিশ উইকেটকিপার ব্যাটার। ১৫০ রান করে দলের ফলো অন বাঁচান। ব্রুকের সঙ্গে ৩০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। কাউন্টার অ্যাটাকিংয়ের মাস্টারক্লাস। বিপদের মুখ থেকে টেনে তোলেন ইংল্যান্ডকে। সম্পূর্ণভাবে বাজবল পদ্ধতি অবলম্বন করেন। ১৫৮ রান করে আউট হন হ্যারি ব্রুক।

চাপের পরিস্থিতিতে নেমে অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দেন স্মিথ। মাত্র ১৪৪ বলে দেড়শো সম্পূর্ণ করেন। টেস্টের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের ব্যাটারের পঞ্চম দ্রুততম একশো। এর আগে এই নজির রয়েছে হ্যারি ব্রুক (১১৫ বল), বেন স্টোকস (১৩৫ বল), বেন ডাকেট (১৪০ বল) এবং অলি পোপের (১৪২ বল)। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে চতুর্থ দ্রুততম ১৫০ রান। এই তালিকায় রয়েছেন শহিদ আফ্রিদি, ডেভিড ওয়ার্নার এবং বেন ডাকেট। মাত্র ৮০ বলে শতরানে‌ পৌঁছে যান স্মিথ। টেস্টে ইংল্যান্ড ব্যাটারের তৃতীয় দ্রুততম শতরান হিসেবে ছুঁয়ে ফেললেন হ্যারি ব্রুককে। ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই নজির গড়েছিলেন তরুণ ব্যাটার। ছাপিয়ে যান বেন স্টোকসকে। ২০১৫ সালে লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই রেকর্ড ছিল তাঁর। লাল বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে একমাত্র গিলবার্ট জেসপ এবং জনি বেয়ারস্টোর এর থেকে দ্রুততম শতরান রয়েছে। যশপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে স্মিথকে রুখতে হিমশিম খায় ভারতীয় বোলাররা।