আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাক হামলায় নিহত তিন আফগান ক্রিকেটার। যাদের ভবিষ্যতের তারকা ভাবা হচ্ছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে আফগান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, তারা নভেম্বরে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলবে না।
পাকিস্তানের এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন রশিদ। এবার পাকিস্তান সুপার লিগের দল লাহোর কালান্দার্সের নাম মুছে দিলেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া বায়ো থেকে। কবীর, সিবঘাতুল্লাহ এবং হারুন নামে তিন স্থানীয় ক্রিকেটার নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে তীব্র কষাঘাত করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।পাকিস্তানে আগামী মাসে হওয়ার কথা ত্রিদেশীয় সিরিজ। সেই সিরিজে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

আফগানিস্তানের প্রভাবশালী ক্রিকেটার রশিদ। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলেন তিনি। এছাড়াও বিগ ব্যাশে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স, পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলেন। কিন্তু তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার বায়ো থেকে সরিয়ে দেন পিএসএলের দলের নাম। রয়ে গিয়েছে গুজরাট টাইটান্স ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের নাম।
তিন জনের মধ্যে কবীরকে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে কবীর নজর কাড়ছিলেন গত দু’মরসুম ধরে। আগ্রাসী ব্যাটার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সাধারণত ওপেন করতেন। কখনও কখনও তিন নম্বরেও ব্যাট করতেন। ধারাবাহিকতার জন্য আফগানিস্তানের দক্ষিণ প্রাদেশিক অনূর্ধ্ব–২৩ প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাক পেয়েছিলেন। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আফগানিস্তানের জাতীয় নির্বাচকদের নজরেও ছিলেন।

রশিদ খান সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ''সাম্প্রতিক পাকিস্তানি বিমান হামলায় নিরীহ এবং সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই মর্মান্তিক ঘটনায় মহিলা, শিশু এবং বিশ্ব মঞ্চে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে আগ্রহী তরুণ ক্রিকেটাররাও প্রাণ হারিয়েছে।''
রশিদের সংযোজন, ''এই বেআইনি কাজগুলি মানবাধিকারকেই লঙ্ঘন করছে। আমি এসিবির প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি। আমাদের জাতীয় মর্যাদা সবার আগে।'' কড়া ভাষায় এহেন নিন্দার পরে রশিদ একপ্রকার বুঝিয়েই দিলেন তিনি আর পাকিস্তান সুপার লিগে খেলবেন না।
মৃত তিন ক্রিকেটারের ছবি প্রকাশ করেছে আফগান বোর্ড। এসিবি–র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘'পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটারেরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উরগুনে ফেরার পরে তাঁদের নিশানা করা হয়।’'
আরও পড়ুন: খাতা না খুলেই আউট কোহলি, এই লজ্জার রেকর্ডে রোহিতকেও পিছনে ফেলে দিলেন বিরাট
