আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ব্যাটার এবি ডিভিলিয়ার্স ইঙ্গিত দিলেন, ভবিষ্যতে আবারও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ফিরতে পারেন তিনি। তবে এবার খেলোয়াড় হিসেবে নয়, বরং কোচ বা মেন্টর হিসেবে তাঁর প্রিয় দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর(আরসিবি) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। ডিভিলিয়ার্স ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস)হয়ে আইপিএল যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিন মরশুম পর ২০১১ সালে তিনি যোগ দেন আরসিবিতে এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যাট হাতে দলের ভরসা হয়ে ওঠেন। ২০২১ সালে ক্রিকেটের সব ধরনের ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও আরসিবির সঙ্গে তাঁর বন্ধন আজও অটুট। তিনি জানান, ‘আমি ভবিষ্যতে আইপিএলে অন্য ভূমিকায় যুক্ত হতে পারি। তবে পুরো মরশুম ধরে পেশাদার দায়িত্ব নেওয়া এখন খুব কঠিন। সেই দিনগুলো শেষ হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। তবে কখনও না-ও হতে পারে। আমার হৃদয় সবসময় আরসিবির সঙ্গে থাকবে। যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি মনে করে আমার জন্য কোনও ভূমিকা আছে, তাহলে সেটা অবশ্যই আরসিবির সঙ্গেই হবে’।
আরসিবির হয়ে খেলে ১৫৭ ম্যাচে এবিডি করেছেন ৪,৫২২ রান। তাঁর গড় ছিল ৪১.১০, আর স্ট্রাইক রেট ছিল চোখ ধাঁধানো ১৫৮.৩৩। দলের হয়ে দুটি সেঞ্চুরি ও ৩৭টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর নামে। ২০১৬ সালে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে বিরাট কোহলির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ২২৯ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন তিনি, যা আজও আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। সেই মরশুমেই তিনি করেছিলেন ৬৮৭ রান এবং রান তালিকায় তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিলেন। মোট ১৮৪ ম্যাচে (দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে) ডিভিলিয়ার্সের সংগ্রহ ৫,১৬২ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫১.৬৮, যার মধ্যে রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৪০টি হাফ-সেঞ্চুরি। ২০২২ সালে ক্রিস গেইলের সঙ্গে তাঁকে আরসিবির হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আইপিএলের পর লেজেন্ডস চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
ফের মাঠে ফেরার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ডি'ভিলিয়ার্স। তিনি বলেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না। লিজেন্ডসদের গ্রুপের সঙ্গে ফ্যানদের সামনে খেলার সুযোগ পাওয়া স্পেশাল। আমরা শুধু টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আসিনি। লড়াই করে জেতার জন্য এসেছি।' ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের অনুমোদনে চলে লিগ। এই টি-২০ লিগ একটি প্রিমিয়ার টুর্নামেন্ট যেখানে প্রাক্তন তারকারা অংশ নেয়। তারমধ্যে থাকে ক্রিকেটের আইকনরা। ফেরে নস্টালজিয়া। প্রতিনিয়ত কিংবদন্তিরা বাইশ গজে নতুন স্মৃতি তৈরি করে। তাঁর সঙ্গে ফিরেছেন ক্রিস মরিস এবং হাশিম আমলা। ২০২৫ লেজেন্ডসদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে এই ত্রয়ীকে। তাঁদের প্রত্যাবর্তন দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল বিশ্বক্রিকেট। এছাড়াও তালিকায় আরও চেনা পরিচিত নাম ছিল। ছিলেন অ্যালবি মর্কেল, ওয়েন পার্নেল, হার্দাস ভিলজোয়েন, এবং অ্যারন প্যানগিসো। দলে অভিজ্ঞতা এবং পাওয়ারের মিশ্রন।
