আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ সুপার কাপ খেলতে রাজি ১২ দল। একমাত্র ওড়িশা এফসি ছাড়া আইএসএলের সব ক্লাবই সুপার কাপ খেলতে রাজি হয়েছে। 
এর ফলে সুপার কাপ নিয়ে চিন্তা কমল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। পরের মাসে শুরু হবে সুপার কাপ। আইএসএলের ক্লাবগুলির পাশাপাশি আই লিগের তিনটি ক্লাব নিয়ে আয়োজন করা হবে প্রতিযোগিতা।


সাধারণত মরসুমের শেষে সুপার কাপ আয়োজিত হয়। তবে এবার আইএসএল শুরু হতে ডিসেম্বর গড়িয়ে যাবে। ক্লাবগুলি যাতে প্রস্তুতি শুরু করে দিতে পারে, তাই সুপার কাপকে এগিয়ে আনা হয়েছে। সকল ক্লাবকেই যথেষ্ট সংখ্যক ম্যাচ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।


ফেডারেশনের তরফে বলা হয়েছে, ‘‌ওড়িশা ছাড়া আইএসএলের ১২টি ক্লাবই সুপার কাপে খেলতে রাজি। আমরা আগামী দু’দিনের মধ্যে আবার ওদের নিশ্চয়তা দিতে অনুরোধ করেছি। তার পরেই প্রতিযোগিতা নিয়ে সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’‌ যদি আইএসএলের আর কোনও দল নাম তুলে নেয়, তা হলে আই লিগের অন্যান্য দলকে সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।


গত দু’বার সুপার কাপের বিজয়ী দল এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২–এর যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে। আগামী বারও তাই হবে। এই বিষয়টি জানতে চেয়ে ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ফেডারেশন সেই ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করে দিয়েছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২–এ খেলতে হলে প্রিমিয়ার লিগ ১ লাইসেন্স থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের।


জানা গেছে, ফেডারেশন ১৬ দলকে নিয়ে সুপার কাপ করার চেষ্টা করছে। এর আগে জানা গিয়েছিল সুপার কাপ শুরু হতে পারে ২৫ অক্টোবর থেকে। শেষ হবে ২২ নভেম্বর। এই সূচি বদলাতেও পারে।

তবে এটা ঘটনা, বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলের টালমাটাল অবস্থা। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আইএসএল হওয়া নিয়ে একটি আশার আলো দেখা দিয়েছে। ডিসেম্বর বা জানুয়ারি থেকে শুরু হতে পারে আইএসএল। তবে তার আগে নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে। সম্পূর্ণ করতে হবে নির্বাচনও। ভারতীয় ফুটবলের এই অবস্থার জন্য বাইচুং ভুটিয়া দুষলেন ফিফাকে। কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে টাটা স্টিল ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে দাবি করেন, ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার আগেই হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল। তাহলে ভারতীয় ফুটবল এই জায়গায় পৌঁছত না। বাইচুং বলেন, ‘‌আমি যা বলেছিলাম, ফিফা চিঠিতে সেটাই লিখেছে। ফিফার তিন বছর আগে এই চিঠি দেওয়া উচিত ছিল। তিন বছর আগেও সংবিধান ছিল না। তখন কেন লেখা হয়নি? তিন বছর আগেই চিঠি দিলে ভারতীয় ফুটবলের এত খারাপ অবস্থা হত না। এবার সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত জানাবে। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। আশা করছি একটা পথ বেরোবে। আইএসএল হবে।’‌ 

এই অবস্থার জন্য আরও একবার ফেডারেশনের কর্তাদের দায়ী করেন পাহাড়ি বিছে। তুলে ধরেন আই লিগের উদাহরণ। বাইচুং বলেন, ‘‌আইএসএল ছেড়ে দাও, আই লিগে কে চ্যাম্পিয়ন আজকেও জানতে পারিনি। অবনমন নিয়েও কোনও খবর নেই। গ্রাসরুট টুর্নামেন্টও হয়নি। আশা করছি পরিস্থিতি ভাল হবে। সংবিধান তৈরি হবে। নির্বাচনও হবে। যেই আসুক, শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।’‌ তিন বছর আগে নির্বাচনে দাঁড়ান। কিন্তু এবার কোনও ইচ্ছে নেই। নির্বাচন প্রসঙ্গে বাইচুং বলেন, ‘‌নির্বাচনের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আশা করব ভাল কেউ আসবে, এবং ফেডারেশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’‌