আজকাল ওয়েব ডেস্ক: খিদে পাওয়া, ঘুম পাওয়ার মতো যৌনতাও মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। নিঃসন্দেহে শারীরিক মিলন দু’টি মানুষের সম্পর্কের রসায়নকে আরও দৃঢ় করে। সার্বিকভাবে সুস্থ জীবনের জন্যও সুখকর যৌনজীবন জরুরি। বিবাহিত বা প্রেম জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ যৌনতা এক বিশেষ অনুভূতিও বটে। যদিও সঙ্গমের কোনও সময় নেই। কিন্তু কতদিন পর পর সহবাস স্বাস্থ্যকর জানেন? হ্যাঁ, যৌনতা শুধুই তাৎক্ষণিক নয়, এর প্রভাব রয়েছে সুদূরপ্রসারীও। অর্থাৎ যৌন মিলনের সময়ের ব্যবধান মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
কখনও ভেবে দেখেছেন, এক মাসে, এক সপ্তাহে বা এক দিনে কতবার সহবাস করা উচিত? বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার বিবাহিত জীবন যতই সুখের হোক, এ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে পরবর্তী জীবনে আপনি সমস্য য় পড়তে পারেন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারী যখন শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ফুরফুরে অবস্থায় থাকেন তখনই তাঁদের মধ্যে শারীরিক মিলন হতে পারে। দু’জনের মধ্যে একজন যদি আগ্রহী না হন, তবে সহবাস না করাই শ্রেয়। সেক্ষেত্রে অনাগ্রহী পার্টনারের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এখানেই শেষ নয়, যৌন মিলনের সঙ্গে আরও অনেক শারীরিক বিষয় জড়িত রয়েছে। এমনকী বাড়তে পারে মৃত্যুর ঝুঁকিও!
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘন ঘন সহবাস করলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে। যার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী মহিলারা। তথ্য বলছে, যে সকল মহিলারা সপ্তাহে একবার যৌনমিলন করেছেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশিবার সহবাস করা মহিলাদের তুলনায় ৭০% বেশি। গবেষকদের যুক্তি, নিয়মিত যৌন মিলনের ফলে প্রোল্যাকটিনের মতো উপকারী হরমোন নি:সৃত হয়। ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
শুধু মহিলারা নয়, পুরুষদের স্বাস্থ্যের উপরও যৌনতার বড় প্রভাব রয়েছে। দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত সহবাস করেন তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকে। এমনকী নিয়মিত সেক্স ক্যানসারের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
