আজকাল ওয়েবডেস্কঃ দিব্যি সকলের সঙ্গে আড্ডা দিতে বসেছেন। বাকিরা গল্পে মশগুল হলেও আপনি মশা তাড়াতেই ব্যস্ত। ঘরে-বাইরে সর্বত্র আপনাকে দেখলেই যেন ছেঁকে ধরে মশার দল। কখনও লক্ষ্য করেছেন যে একই পরিবেশে থাকা সত্ত্বেও মশারা শুধুমাত্র আপনাকেই বেশি কামড়ায়? সত্যি কি তাই? অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটি কাকতালীয় নাকি মানসিক? আসল কারণ জানলে কিন্তু চমকে যেতে পারেন।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে মশাদের কিছু মানুষের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ কাজ করে। আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে শরীরের গঠন সহ নানা কারণের এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। বিজ্ঞান বলছে, পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ আপনার মতোই মশার অত্যধিক ‘ভালোবাসা’র শিকার। আপনার মশার প্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে কী কারণ রয়েছে, জেনে নিন-
* বেশি শ্বাস নেওয়াঃ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কার্বন ডাই–অক্সাইডের প্রতি মশাদের একটা ভাল লাগা আছে। তাই আপনি যদি বেশি নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, তাহলে এই গ্যাস বেশি নির্গত হওয়ায় মশা বেশি কামড়াতে পারে।
* শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলেঃ আপনার শরীরের তাপমাত্রা যদি বেশি হয় তাহলে মশা আপনার শরীরে অন্যদের তুলনায় বেশি বসবে। সেই কারণেই দৌড়ানোর সময় বা ব্যায়াম করার পর শরীরের তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে, তখন মশা কামড়াতে দেখা যায়।
* রক্তের গ্রুপঃ বিজ্ঞান বলছে, কিছু কিছু গ্রুপের রক্ত মশারা একটু বেশিই পছন্দ করে। বিশেষ করে ‘এবি’ আর ‘ও’ গ্রুপের রক্ত এশীয় মশাদের কাছে বেশি প্রিয়। তাই আপনার যদি এই গ্রুপের রক্ত হয়, তাহলে সাবধান।
* ঘামে ভেজা শরীরঃ ঘাম আপনার অপছন্দ হলেও মশার খুবই প্রিয়। বিশেষ করে ঘামে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া মশাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। তাই ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে মশার থেকে সাবধান।
* গর্ভাবস্থায়ঃ গবেষণায় ধরা পড়েছে, সাধারণ মানুষের তুলনায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের মশা কামড়ানোর হার দ্বিগুণ! এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় শরীর থেকে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হওয়াও একটি কারণ।
* বিশেষ খাবারঃ মিষ্টি, ঝাল ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার মশার বেশি পছন্দ বলে মনে করা হয়। গবেষকরা কলাকেও মশার আকর্ষণীয় খাবার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই ধরনের খাবার খাওয়ার সময়ে মশা থেকে সাবধান।
* নির্দিষ্ট রঙের পোশাকঃ শুধু খাওয়াদাওয়া বা ব্যায়াম নয়, আপনার পোশাকও মশাকে আকর্ষণে করতে পারে। গবেষণা বলছে, হালকা বা সাদা রঙের তুলনায় কালো আর সবুজ রঙের পোশাক পরলে মশা গায়ে বেশি বসে।
বাঁচার উপায়
মশা থেকে বাঁচতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন। যেমন বাড়ি পরিষ্কার রাখা, জল জমতে না দেওয়া, মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা, হাত ও পায়ের খোলা জায়গায় মশা যাতে বসে তার জন্য লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
