আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আধুনিক জীবনযাত্রায় ঘুম থেকে উঠেই শুরু হয়ে যায় তাড়াহুড়ো। সকাল থেকেই ব্যস্ততার কারণে খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম যেন রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ব্রেকফাস্ট না খাওয়ার প্রবণতা বেশি চোখে পড়ে। আবার ওজন কমাতে গিয়ে সকালবেলা জলখাবার খান না অনেকেই। আপনিও কি প্রায়ই ব্রেকফাস্ট স্কিপ করছেন? শুধু ডিটক্স ওয়াটার খেয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন কর্মস্থলে? তাহলে অজান্তেই হয়েতো শরীরের বিপদ ডেকে আনছেন!
কথায় রয়েছে, রাজার মতো ব্রেকফাস্ট খাওয়া উচিত। এ কথা অক্ষরে-অক্ষরে সত্য। দিনের শুরুর খাবার দেহে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি কাজে এনার্জি দেয়। আর অবশ্যই ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাহলে যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, কোন কোন ব্রেকফাস্ট ডায়েটে রাখলে পুষ্টির খাটতি হবে না, জেনে নেওয়া যাক-
১. দিনের শুরুতে পেটে পড়ুক দই। তবে মিষ্টি দই একেবারেই নয়। ঘরে পাতানো একবাটি টক দইয়ের সঙ্গে ওটস কিংবা কর্নফ্লেক্স মিশিয়ে নিন। সঙ্গে দিন পছন্দের ফল, ড্রাই ফ্রুটস ও বিভিন্ন ধরনের সিডস। চটজলদি যেমন ব্রেকফাস্ট তৈরি হয়ে যাবে, তেমনই অনেকক্ষণ ভরা থাকবে পেট।
২. সকালের জলখাবারে একগ্লাস করে দুধ খেতে পারেন। যাদের দুধে সমস্যা রয়েছে তাঁরা ছানা খান। ছানায় রয়েছে ভালো পরিমাণে প্রোটিন। ১০০ গ্রাম ছানায় থাকে প্রায় ১৪ গ্রাম প্রোটিন। আর এই প্রোটিন খুব সহজে শরীরে গৃহীত হয়। তবে মিষ্টি মিশিয়ে ছানা খাওয়া কিন্তু চলবে না।
৩. আর কিছু না হোক ব্রেকফাস্টে ২টো ডিম সেদ্ধ কিংবা ডিমের পোচ খেতে পারেন। সপ্তাহে প্রতিদিন সকালে দুটি ডিমের সাদা খেতেই পারেন। তবে কুসুম খেলে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন খান। আর দিনে একটির বেশি নয়।
৪. সুজি মানেই বেশি প্রোটিন আর কম ফ্যাট। নানান সবজি দিয়ে সহজে বানিয়ে নেওয়া যায় সুজির উপমা। সকালে খাওয়ার জন্য উপমা অন্যতম পুষ্টিকর খাবার।
৫. কল বেরোনা ছোলা, মুগে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, পটাসিয়াম. আয়রন, প্রোটিন সহ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই সকালের শুরু করতে পারেন স্প্রাউটের স্যালড দিয়েছে দিয়ে।
