আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সকালে মাথায় চাঁদিফাটা রোদ নিয়ে বেরোলেন, বিকেলে ফিরলেন বৃষ্টিতে ভিজে।অনেকে তো হারিয়ে ফেলার ভয়ে ছাতা ব্যবহারই করেন না। পরদিন থেকেই খুসখুসে কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব শুরু। আবহাওয়ার এই খামখেয়লিপনায় অসুস্থ হচ্ছে শিশুরাও। প্রাথমিকভাবে সুস্থ হতে ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখতেই পারেন। সেটি হল কাড়া। দিদা ঠাকুমাদের বহু যুগ আগের এই টোটকা ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভীষণ কার্যকরী। এই পানীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। ভিতরে সর্দি জমে থাকলেও বের করে আনে।
একটি পাত্রে তিন লিটার জল নিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। বেশ কিছুক্ষণ ফোটার পরে জল কিছুটা শুকিয়ে গেলে তার মধ্যে চার-পাঁচটি তুলসী পাতা দিন। আবার ভাল করে ফোটান মিনিট পাঁচেক। এরপর একে একে সব মশলা অর্থাৎ দুটি লবঙ্গ, এক চামচ আদাবাটা,একটি দারচিনি,এক চামচ গোলমরিচ ও এক চামচ হলুদগুঁড়ো দিন। সম্পূর্ণ মিশ্রনটি ফুটে গেলে
জল নামিয়ে নিয়ে ছেঁকে নিন।একটু মিষ্টিভাব চাইলে মধু মিশিয়ে খান। ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা,নাক দিয়ে জল পড়ার মতো অস্বস্থিকর অবস্থায় ভীষণ উপকার মিলবে।
ঠান্ডা লাগলে গরম স্যুপ খান। খুব প্রয়োজন হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন।সমস্যা কমে গিয়ে আবার হঠাৎ বেড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে ভাইরাল ইনফেকশন হলে তখন সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। তাই সাবধান থাকতে হবে। খুব ঠান্ডা জায়গায় গেলে নাক বন্ধ রাখুন।
জ্বর, সর্দিতে অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। ভাইরাল ইনফেকশনে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনও ভূমিকা নেই। বেশি করে জল খেতে হবে। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে যে কোনও সংক্রমণ জাঁকিয়ে বসে। তাই শরীর আর্দ্র রাখা জরুরি।
প্রচুর সবুজ শাকসবজি খান। সেই সঙ্গে ফলও খেতে হবে। শাকসবজি ও ফলে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদান শরীরের যত্ন নেয়, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সুবিধা হয়।
