আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে এখন গ্রীষ্মকাল প্রায় এসে গিয়েছে। এই মরসুমে অনেকেই নতুন এসি কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসি কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। তার মধ্যে একটি হল 'টন'। আপনি হয়তো এই শব্দটি অনেকবার শুনেছেন। অনেকেই হয়তো এটিকে ওজনের পরিমাপক হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। কিন্তু, এটি ওজন নয়। এসি কেনার ক্ষেত্রে এটি আসলে কী এবং ক্রেতাদের এটি সম্পর্কে জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষেত্রে, 'টন' বলতে এসি ইউনিটের ওজন বোঝায় না, বরং এর ঠাণ্ডা করার ক্ষমতাকে বোঝায়। এটি পরিমাপ করে যে এক ঘন্টায় কোন স্থান থেকে কত তাপ অপসারণ করা যায়। এসি-তে 'টন'-এর অর্থ, ১ টন কুলিং = প্রতি ঘন্টায় ১২,০০০ ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (BTU)। ১ টন এসি ১২,০০০ BTU/ঘন্টা, ১.৫ টন এসি ১৮,০০০ BTU/ঘন্টা এবং ২ টন এসি ২৪,০০০ BTU/ঘন্টা তাপ অপসারণ করে। এই ধারণা অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টায় এক টন (২,০০০ পাউন্ড) বরফ গলানোর জন্য প্রয়োজনীয় তাপের পরিমাণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
শক্তির সাশ্রয়, ঠাণ্ডা করার ক্ষমতা এবং খরচ সাশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে এসি কেনার করার সময় সঠিক মডেল নির্বাচন করা অপরিহার্য। কারণ, ঘরের আকারের সঙ্গে এসির কর্মক্ষমতা মানানসই হওয়া উচিত। ছোট ঘরের জন্য ০.৮-১ টন এসি (১০০-১৫০ বর্গফুট)। মাঝারি আকারের ঘরের জন্য ১.৫ টন এসি (১৫০-২৫০ বর্গফুট) এবং বড় ঘরের জন্য ২ টন বা তার বেশি (২৫০ বর্গফুটের বেশি)। যদি এসি খুব ছোট হয়, তাহলে ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগবে এবং বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে। যদি এটি খুব বড় হয়, তাহলে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে কিন্তু ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
সঠিক আকারের এসি কম বিদ্যুৎ খরচ করে, ফলে বিল কম আসে। ৫ তারা বিশিষ্টি এসি অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ করে। যার ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতেরও সাশ্রয় হয়। গরম এবং আর্দ্র অঞ্চলে সামান্য বেশি টনের মডেলের প্রয়োজন হয়। কম ব্যবহৃত এলাকায়, কম টনের এসি ব্যবহার করা ভাল।
