আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বর্ষাকাল এলেই বাড়ে মশার উপদ্রব। এই মরশুম থেকে বাড়তে থাকে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। যার জন্য কীটনাশক প্রতিরোধক, মশারি এবং ফুলহাতা জামা পরা এবং বাড়ির আশোপাশে জল না জমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। মশা কামড়লে চামড়া ফুলে যায়, চুলকানি থামতে চায় না। অনেক সময়ে ক্রিম অথবা লোশন লাগিয়ে চুলকানি কমে বটে! তবে আপনি কখনও মশার কামড়ানোর জায়গায় গরম চামচ ব্যবহার করেছেন? শুনতে অবাক লাগলেও এই টোটকাই নাকি মুহুর্তে কমাতে পারে মশার কামড়ের চুলকানি। 

আসলে মশা যখন ত্বকের ভিতরে লালা প্রবেশ করায়। মশার লালায় এমন প্রোটিন থাকে যার ফলে হিস্টামিন নিঃসরণ হয়। এর থেকে প্রদাহ, চুলকানি এবং ফোলাভাব সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রেই চুলকানির অনুভূতি কমাতে সাহায্য করতে পারে গরম চামচ। মশার লালার প্রোটিনকে গরম চামচ বিকৃত করে অর্থাৎ তাপের মাধ্যমে প্রোটিনের বৈশিষ্ট্যগুলো ধ্বংস করে। তবে এটি সাময়িকভাবে অল্প সময়ের জন্য স্বস্তি দেয়। 

যদি মশার কামড়ের চিকিৎসায় গরম চামচের ব্যবহার নিয়ে তেমন কোনও গবেষণা নেই। তবে এমন প্রমাণ রয়েছে যে মশার কামড়ে ইলেকট্রনিক উত্তপ্ত যন্ত্রের মতো ঘনীভূত তাপ প্রয়োগ করলে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ২০১১ সালে ক্লিনিক্যাল কসমেটিক অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনাল ডার্মাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় গবেষকরা দেখেছেন যে মশার কামড়ের জন্য নির্দিষ্টভাবে পরিচালিত ঘনীভূত তাপ ব্যবহার করলে ফোলাভাব, চুলকানি এবং ব্যথার মতো লক্ষণগুলির দ্রুত উন্নতি হতে পারে। ২০২৩ সালে অ্যাক্টা ডার্মাটো ভেনেরিওলজিকা জার্নালে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা বলছে, মশার কামড়ের কারণে নির্দিষ্টভাবে তাপ প্রয়োগ করলে এক মিনিটের মধ্যেই চুলকানি ৫৭ শতাংশ কমে যায়।