আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমুদ্র সৈকত রয়েছে। তাহলে বারে বারে জগন্নাথ দর্শনের জন্য আর ভিন রাজ্যে কেন? তৃণমূল জমানায় মমতা বাংলাতে বানিয়েছেন জগন্নাথ ধাম। এবার বাংলায় হবে দুর্গা অঙ্গন। অর্থাৎ কেবল শরতের বিশেষ সময় নয়, যে কোনও সময়, যে কোনও দিন দেখা যাবে দুর্গা ঠাকুর।

আরও পড়ুন: 'বাংলা ভাষার উপর চলছে বিরাট সন্ত্রাস', একুশের মঞ্চ থেকে ফের গর্জে উঠলেন মমতা

মমতা এদিন বলেন, ‘আমারা মৃত্যুর জন্য তৈরি। বাংলা কিংবা যে কোনও ভাষার উপর অসম্মান মানব না। একটা বিদ্যাসাগরের মূর্তি আঘাত করে রেজাল্ট দেখছিলেন তো।  অসমে মা কালী মন্দির ভেঙে দিলেন। যদি তা বাংলায় হত, কী হত? আগে কী বলতেন, মমতাজী দুর্গা পুজা করনে নেহি দেতে হ্যা।  সরস্বতী পূজা করনে নেহি দেতে হ্যা। আর নির্বাচনের আগে হঠাৎ মনে পড়ল মা কালী-দুর্গার কথা। মা দুর্গা আমাদের জাতীয়  সম্পদ। জগ্ননাথ ধাম যেমন করে দিয়েছি, আগামী দিন জগন্নাথ ধামের অনুকরণে একটা দুর্গা অঙ্গন আমি বাংলায় করে দেব। সারাবছর যাতে বাংলার মানুষ আসতে পারে, দেখতে পারে। ‘

 

দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে পুরীর জগন্নাথের মন্দিরের আদলে। প্রায় ২২ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে বিশাল ও বিরাট মন্দির চত্বর। যার জন্য খরচ করা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।প্রত্যেক বছর রথযাত্রার সময় পুরীতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ বেরোনোর আগে সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা ঝাঁট দেওয়া হয়। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও সেই প্রথা পালন করা হয়। এমনকী, এই সোনার ঝাঁটা তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে টাকা দিয়েছেন। অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হয় জগন্নাথ ধামের। 

এখানে রয়েছে চারটি প্রধান দুয়ার — সিংহদুয়ার, ব্যাঘ্রদুয়ার, হস্তিদুয়ার ও অশ্বদুয়ার। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পর প্রথমেই দর্শনার্থীরা দেখবেন অরুণ স্তম্ভ।

মন্দিরের গঠনেও রয়েছে পুরীর ছাপ— গর্ভগৃহ, জগমোহন, নাটমণ্ডপ ও ভোগমণ্ডপের মতো চারটি প্রধান অংশ। গর্ভগৃহের বেদিতে প্রতিষ্ঠিত থাকবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ।

 

এদিক মমতা জানানলেন, দিঘার জগন্নাথ ধামের পর, তৈরি হবে দুর্গা অঙ্গন। এদিন মঞ্চ থেকে বারে বারে বাংলাভাষীদের উপর বঞ্চনার, অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। মঞ্চ থেকেই আগামীর পরিকল্পনা ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, ২৭ জুলাই নানুর দিবসের দিন থেকে প্রতি শনি-রবিবার বাংলা ভাষার উপর যে অপমান, সন্ত্রাস তার বিরুদ্ধে সব ভাষাভাষী লোকেদের নিয়ে মিটিং-মিছিল করুন। যদি কোনও পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার খবর দেয়, বিপদে আছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ান, আমাদের জানান। পরিযায়ী শ্রমিকদের বলব ফিরে আসুন। বাংলায় কাজের অভাব নেই।' একই সঙ্গে তিনি বলেন, '২৭ জুলাই থেকে ভাষা আন্দোলন শুরু করুন। ভাষার অপমান করলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব। ভাষার উপর সন্ত্রাস মানছি না মানব না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত, টানা এই আন্দোলন চলবে। আপনাদের বলব আপনারা আরও বেশি করে বাংলায় কথা বলুন।‘ 

কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, '২০২৬ সালে আরও বেশি আসন নিয়ে জিততে হবে। তারপর আমাদের লক্ষ্য হবে দিল্লি। দিল্লিতে বিজেপিকে হারাতে হবে। দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরাতে হবে।'