আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি ল’কলেজে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর এদিন কলেজে জিবি করা হয়। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মঙ্গলবার অশোক দেব জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তিন পড়ুয়াকেই কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা কলেজে যাতে প্রবেশ করতে না পারেন সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলেজ কবে খুলবে সেই বিষয়েও চিঠি দেওয়া হবে উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং পুলিশকে। সবুজ সঙ্কেত মিললে তারপরেই পরবর্তী পদক্ষেপ। পাশাপাশি কলেজ চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ।

মঙ্গলবার অশোক দেব বলেন, ‘নতুন কোনও নিরাপত্তা সংস্থাকে আমরা নিযুক্ত করব। কলেজ চত্বরের ভিতরে এবং বাইরে সিসিটিভি বসানো হবে। পাশাপাশি, মহিলা সুরক্ষা কর্মীও নিয়োগ করা হবে’। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ‘সানফ্লাওয়ার এজেন্সি’ নামে যে সংস্থা কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বার কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সম্ভাবনাও এর আগে আলোচনা করা হয়েছে। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি জানান, ‘এই বিষয়ে গভর্নিং বডির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা সেটাও বিবেচনা করে দেখছি’। দক্ষিণ কলকাতার কলেজে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার গোটা ব্যবস্থায় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি ল’কলেজে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। তাদের মধ্যে একজন কলেজেরই প্রাক্তন এবং অপর দু’জন কলেজের পড়ুয়া বলে জানা যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারীনী অভিযোগে জানান, গত ২৫ জুন সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে আটটা পঞ্চাশের মধ্যবর্তী সময়কালে তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হয়। দুই অভিযুক্তকে পুলিশ ২৬ জুন গ্রেপ্তার করে তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে। অন্যদিকে, আর এক অভিযুক্তকে ২৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয় তার বাড়ি থেকে। তারও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তরুণীর বয়ানের সঙ্গে কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ মিলে গিয়েছে বলে খবর মিলেছে পুলিশ সূত্রে।