আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের গ্রিন বিল্ডিংয়ে আগুন। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ওই এলাকা। প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলেন হাসপাতালের কর্মীরা। যদিও খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন।
ঘটনার কোনও হতাহতের খবর নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন ধূমপানের পর কেউ কোনও জ্বলন্ত বিড়ি বা সিগারেটের টুকরো ফেলে দেওয়ায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ আচমকাই গ্রিন বিল্ডিংয়ের 'বেসমেন্ট' থেকে গলগলিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এই বিল্ডিংয়ের একেবারে কাছেই রয়েছে হাসপাতাল সুপার -এর অফিস। রয়েছে অ্যাডিশনাল সুপার-এর অফিস। বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলায় তখন রোগী, চিকিৎসক ও রোগীর পরিজনদের ভিড়।
আচমকা ধোঁয়া দেখে সকলেই কিছুটা হকচকিয়ে যান। কটু গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে আশেপাশে সকলের চোখ জ্বলতে থাকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন হাসপাতালের কর্মীরা। তাঁরা নিজেরাই হাত লাগান আগুন নেভানোর কাজে। শেষপর্যন্ত প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
জানা গিয়েছে, বেসমেন্ট-এর মধ্যে কিছু জিনিসপত্র ছিল। সেখানেই এই আগুন লাগে। এবিষয়ে হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, 'আমাদের সন্দেহ কোনও রোগীর পরিজন বা অন্য কেউ জ্বলন্ত বিড়ি বা সিগারেটের টুকরোর শেষাংশ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ায় জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।' এই ঘটনার পর হাসপাতালের সব জায়গাতেই নজরদারি আরও জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে ওই আধিকারিকের সংযোজন, 'হাসপাতালের মধ্যে বিড়ি বা সিগারেট খাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এর পরেও যদি কেউ এটা মাথায় না রাখেন তাহলে কিছুই বলার নেই। নজরদারি থাকলেও নিজেদের সচেতনতা সবার আগে।'
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকলের দু'টি ইঞ্জিনে এসেছিল। গ্রিন বিল্ডিংয়ের ঠিক পেছনদিকে এই আগুন লেগেছিল। তবে দমকল বাহিনী তৎপরতা ও দু'টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে এই হাসপাতালের 'মেন বিল্ডিং'-এর দোতলায় একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাক্রমে ওই দিনটি ছিল রবিবার। অন্য দিনের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালে ভিড় কম ছিল। রাত প্রায় সাড়ে ন'টা নাগাদ ওই বিল্ডিংয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের শৌচাগারে আচমকাই আগুনের শিখা দেখতে পান হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিজনরা।
আরও পড়ুন: 'বাবার মতো পাত্র চাই', খুঁজে না পাওয়ায় বাবার সঙ্গেই সাত পাক ঘুরলেন মেয়ে! ছিঃ ছিক্কার গ্রামবাসীদের
আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে দমকল বিভাগকে খবর দেয় এবং ঘটনাস্থলে চলে আসেন দমকল আধিকারিক ও কর্মীরা। ওই বিল্ডিংয়ের বেশ কিছুটা অংশ ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়া। রোগীর পরিজনদের সঙ্গে ভয় পেয়ে যান রোগীরাও। যদিও কোনোরকম দুর্ঘটনা ঘটার আগেই দমকল কর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে আগুন নিভিয়ে ফেলেন হাসপাতালের কর্মীরা। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
