আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএলের মেগা নিলামে অবিক্রিত ছিলেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে নায়ক। চার উইকেট নিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ম্যাচে ফেরান। তারমধ্যে পরপর দু বলে ফেরান অভিষেক শর্মা এবং ঈশান কিষাণকে। ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে জয়ের পর শার্দূলের সঙ্গে একটি আবেগতাড়িত মুহূর্ত ভাগ করে নিতে দেখা যায় এলএসজির মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে। তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে যান ম্যাচের সেরা। কিন্তু মাথা নত করে তাঁকে কুর্নিশ জানান গোয়েঙ্কা। তারপর একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। গত বছর ম্যাচ হারার পর মাঠে দাঁড়িয়েই তৎকালীন অধিনায়ক কেএল রাহুলের সঙ্গে রাগত ভঙ্গিমায় কথা বলতে দেখা যায় লখনউয়ের মালিককে। যা নিয়ে তোলপাড় হয় সোশ্যাল মিডিয়া। তাঁকে তুলোধোনা করা হয়। প্রথম ম্যাচের শেষে ঋষভ পন্থের সঙ্গেও গম্ভীরভাবে কথা বলতে দেখা যায় গোয়েঙ্কাকে। তাই হঠাৎ লখনউয়ের মালিকের এমন আচরণে অবাক নেটমাধ্যম।
আইপিএলের মেগা নিলামে শার্দূল ঠাকুরকে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনেনি। তাঁর বেস প্রাইজ ছিল ২ কোটি। শেষপর্যন্ত অবিক্রিত থাকেন। সম্প্রতি রঞ্জিতে সফল হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় দলে ডাক পাননি। শেষমেষ কাউন্টিতে খেলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। কিন্তু আচমকা জহির খানের ফোন পান। তাঁকে তৈরি থাকতে বলেন। জানান, মহসিন খান ফিট না হলে তাঁকে ডাকা হতে পারে। তারপরই কোটিপতি লিগে খেলার মানসিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন শার্দূল। আইপিএলের প্রথম সপ্তাহের শেষে সর্বোচ্চ উইকেটে শিকারি ভারতীয় পেসার। দুই ম্যাচে ৬ উইকেট তুলে নেন। গড় ৮.৮৩। সানরাইজার্স ম্যাচের পর বেগুনি টুপি ওঠে তাঁর মাথায়। ম্যাচ শেষে শার্দূল জানান, লখনউয়ের পাশাপাশি আরও ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রস্তাব ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু সবার আগে তাঁকে ফোন করেন জাহির। সেই কারণেই লখনউতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
