আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা নাইট রাইডার্সের পর আরও একটি হোম টিম ঘরের মাঠের পিচের চরিত্র নিয়ে বিরক্ত। ২২ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব কিংস। তারপরই যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেন জহির খান। তিনি বলেন, মনে হয়েছে পিচ তৈরি করার জন্য বিপক্ষ নিজেদের পিচ কিউরেটর সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে জহির খান বলেন, 'আমাদের হোম ম্যাচ ছিল। আইপিএলে দলগুলো ঘরের মাঠে খেলার অ্যাডভান্টেজ নেয়। কিন্তু আমাদের কিউরেটরের পিচ দেখে মনে হয়নি এটা আমাদের হোম ম্যাচ ছিল। বরং, মনে হয়েছে পাঞ্জাবের কিউরেটর পিচ তৈরি করেছে। সেই নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আমার কাছে এটা নতুন সেট আপ। তবে আশা করব, ঘরের মাঠে এমন পরিস্থিতির আমরা প্রথম এবং শেষবার সম্মুখীন হলাম। কারণ তোমরা লখনউ ফ্যানদেরও হতাশ করছো। ওরা ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে জয় দেখতে এসেছিল।' 

চোটের জন্য দলের প্রধান পেসাররা নেই। সেই কারণে হয়তো স্পিন সহায়ক উইকেট চেয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। বা অন্তত বিপক্ষের পেস আক্রমণ ভোঁতা করে দেওয়ার মতো উইকেট। দলে মাত্র দু'জন পেসার রাখে লখনউ। তাঁদের ঘরের মাঠে পেস ত্রয়ী খেলিয়ে তার ফায়দা তোলে পাঞ্জাব। লখনউকে সমস্যায় ফেলেন অর্শদীপ সিং, লকি ফার্গুসন এবং মার্কো জ্যানসেন। পিচ পড়তে ভুল করে লখনউর টিম ম্যানেজমেন্ট। এই নিয়ে জহির বলেন, 'পিচ কিউরেটরের নির্দেশ মতো আমরা চলব। আমরা এটাকে অজুহাত হিসেবে নিচ্ছি না। আগের মরশুমে আমরা দেখেছি, এখানে ব্যাটারদেরও মাঝেমধ্যে সমস্যায় পড়তে হয়। ক্রিকেটে এটা চলে। তবে হোম টিমের সাপোর্ট পাওয়া উচিত। সবার বোঝা উচিত এটা আমাদের ঘরের মাঠ। এখানে আমাদের জেতানোর জন্য সবরকমের সাহায্য করা উচিত। সবার অবদান গুরুত্বপূর্ণ।' ম্যাচের পর ঋষভ পন্থ জানান, তাঁরা স্লো পিচের আশা করেছিল। তাই পেসার প্রিন্স যাদবের জায়গায় স্পিনার এম সিদ্ধার্থকে খেলানো হয়। এর আগে ঘরের মাঠের পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল লখনউ সুপার জায়ান্টসের নাম।