আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের জয়ের পথে অন্যতম কাঁটা ছিলেন কেএল রাহুল। পুরোনো ডেরায় ফিরেই জ্বলে ওঠেন। অর্ধশতরান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দলের অধিনায়ক ছিলেন রাহুল। মেগা নিলামের আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর স্লো স্ট্রাইক রেটের জন্য রাখতে চায়নি লখনউ। মেগা নিলামে তাঁকে কেনে দিল্লি ক্যাপিটালস। বেশ কিছুদিন পর আবার আমনে-সামনে কেএল রাহুল এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তবে তাঁদের সাক্ষাৎ মোটেই তেমন মধুর হয়নি। ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তারকা ক্রিকেটার। 

মাঠ ছাড়ার সময় গোয়েঙ্কার দিকে তাকাননি রাহুল। কলকাতার শিল্পপতির সঙ্গে তড়িঘড়ি হাত মেলালেও তাতে কোনও আগ্রহ ছিল না রাহুলের। যা দেখেই বোঝা যায়। রাহুলকে কিছু বলার চেষ্টা করেন গোয়েঙ্কা। কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি। এই ঘটনার পর ক্রিকেটার হনুমা বিহারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'কোল্ড হ্যান্ডশেক।' প্রসঙ্গত, গত বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারার পর মাঠে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যেই রাহুলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন গোয়েঙ্কা। সেই ঘটনা হয়তো এখনও ভুলতে পারেননি তারকা ক্রিকেটার। 

আইপিএলে আরও একটি রেকর্ড করে ফেললেন রাহুল। দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে ৫০০০ রান সম্পূর্ণ করেন। পুরোনো দল লখনউয়ের বিরুদ্ধে এই মাইলস্টোন ছুঁলেন। ১৩০তম ইনিংসে এই নজির গড়লেন। পেরিয়ে গেলেন ডেভিড ওয়ার্নার, বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্স এবং শিখর ধাওয়ানকে। ম্যাচ শেষে রাহুল প্রসঙ্গে মুখ খোলেন লখনউয়ের কর্ণধার। তাঁকে 'ভদ্রলোক' এর অ্যাখ্যা দেন। গোয়েঙ্কা বলেন, 'কেএল রাহুল বরাবর আমার পরিবারের অঙ্গ ছিল এবং থাকবে। ও তিন বছর লখনউকে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং সাফল্য পেয়েছে। যাই হোক না কেন, আমি ওর ভাল চাই। ও আদ্যপান্ত ভদ্রলোক। ও খুবই সৎ। ওর মতো সৎ লোকের ভাল হওয়া উচিত। ও প্রতিভাবানও। আশা করব সেই প্রতিভা গোটা বিশ্ব দেখতে পাবে। আমার শুভেচ্ছা ওর সঙ্গে থাকবে।' রাহুলকে ছেড়ে ঋষভ পন্থকে নেয় লখনউ। এই সিদ্ধান্তের জন্য হয়তো এবার হাত কামড়াচ্ছেন কলকাতার শিল্পপতি।