আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি আইপিএলের অন্যতম আবিষ্কার দিগভেশ রাঠি। শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিংয়ের পাশাপাশি ট্রেডমার্ক নোটবুক সেলিব্রেশনে প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন। যার ফলে একাধিকবার বোর্ডের শাস্তির কবলে পড়তে হয়। তবে এই জায়গায় পৌঁছতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে দিগভেশকে। তরুণ স্পিনারের ভাই সানি জানান, কতটা আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁদের। আর্থিক সমস্যার জন্য দিল্লি ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তাতে দিগভেশকে থামানো যায়নি। লক্ষ্যচ্যুত হয়নি তরুণ ক্রিকেটার। নিজের স্বপ্নকে তাড়া করেন। বর্তমানে মণ্ডলী প্রিজন কমপ্লেক্সে পুলিশের কনস্টেবল সানি। তিনি বলেন, 'দিগভেশের কোনও গডফাদার নেই। আমাদের টাকা-পয়সা, চেনা-পরিচিতি ছিল না। আমাদের দিল্লি ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা পালিয়ে যাব কেন?'
মেগা নিলামে ৩০ লক্ষ দিয়ে তাঁকে কিনেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথমে ব্যাটার হিসেবে শুরু করেন। কিন্তু নেট প্র্যাকটিসের অভাবে পরবর্তীতে বোলার হয়ে যান। সুনীল নারিনের ফ্যান দিগভেশ। তাঁর আইডলকে নকল করেই এগিয়ে যান। এই প্রসঙ্গে সানি বলেন, 'দিগভেশের ব্যাট করার সময় অধিকাংশ বোলার বল করতে চাইত না। কারণ ও পরিচিত নাম নয়। ওদের বিরুদ্ধে ভাল শট খেললে, ওদের ইগোতে লাগত। প্লেয়াররা নিজেদের বল নিয়ে আসত। সেটা ওর পেছনে নষ্ট করতে চাইত না। আমি ওকে ঘণ্টার পর ঘন্টা বল করতাম। তবে মাত্র একজন বোলারের মুখোমুখি হলে লাভ হয় না।' এইভাবে একদিন ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেট কিপার বিজয় দাহিয়ার নজরে পড়ে যান। নিজের অ্যাকাডেমিতে ডেকে নেন। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে সাউথ দিল্লি সুপারস্টার্জের হয়ে ১৪ উইকেট নেন দিগভেশ। তারপরই সুযোগ মেলে আইপিএলে।
