সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: রবিবারের ইডেন পেয়েছে পুরোনো রাসেলকে। যিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে একার হাতে ম্যাচের রং বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। চলতি আইপিএলে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অবশেষে রাসেল ফিরলেন রাসেলে। স্বস্তি ফিরল নাইট শিবিরে। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে পার্থক্য গড়ে দেন তিনিই। ম্যাচ শেষে জানান, বয়স সংখ্যা মাত্র। সতীর্থের ফর্মে ফেরায় খুশি বরুণ চক্রবর্তী। জানান, রাসেল আরও কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যেতে চান। বরুণ বলেন, 'আমি রাসেলের সঙ্গে কথা বলেছি। ও আইপিএলের আরও দুটো তিনটে সাইকেল খেলতে চায়। বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়। ও এখনও ফিট আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সেটাই যথেষ্ঠ।' এদিন শুরুটা সতর্কতার সঙ্গে করেন ক্যারিবিয়ান তারকা। বিপক্ষের স্পিনারদের বুঝে খেলেন। উইকেটে থিতু হওয়ার পর হাত খোলেন। সতীর্থের খেলার ধরণ বদলানোর প্রসঙ্গে বরুণ বলেন, 'সেটা সম্পূর্ণ ওর ব্যাপার। ও স্পিনের বিরুদ্ধেও ভাল খেলতে পারে। বেধড়ক মারতে পারে। যা আমরা অতীতে দেখেছি। এদিন ও আলাদা মনোভাব নিয়ে নেমেছিল।'
ইডেনের পিচ নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ ছিল নাইট শিবিরের। এদিন উইকেটে চারশোর বেশি রান উঠেছে। প্রথমদিকে উইকেট মন্থর থাকলেও, পরের দিকে ব্যাটিং সহায়ক হয়। বহু চর্চিত ইডেন পিচ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই কেকেআরের স্পিনারের। বরুণ বলেন, 'ইডেনের উইকেট নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। আমরা এই উইকেটই পাব। দ্বিতীয় ইনিংসে পিচ একটু ভাল হয়। ইডেনে ব়্যাঙ্ক টার্নার হলেও ২০০ রান উঠবে।' ম্যাচের কোনও একটি নির্দিষ্ট টার্নিং পয়েন্ট বেছে নিতে পারলেন না বরুণ। জানান, ম্যাচটা পেন্ডুলামের মতো দিক বদলাচ্ছিল। কখনও ঘুরছিল তাঁদের দিকে, কখনও রাজস্থানের দিকে। তাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট একাধিক। প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করতে হাতে আরও তিনটে ম্যাচ। কিন্তু মাত্র সেই লক্ষ্যে এগোতে চায় না নাইট শিবির। পরের পাঁচ ম্যাচের জন্যই মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁরা। নাইটদের রহস্য স্পিনার জানান, এরকম রুদ্ধশ্বাস জয় তাঁদের মনোবল বাড়াবে। বরুণ বলেন, 'আমাদের সবকটা ম্যাচ জিততে হবে। আমাদের এখনও পাঁচটা নক আউট ম্যাচ বাকি। এই জায়গা থেকে প্রত্যেক ম্যাচ নক আউট। আশা করব এই জয় থেকে আমরা মোমেন্টাম ফিরে পাব। নিজেদের ওপর বিশ্বাস বাড়বে। আমরা আগেও সেটা করে দেখিয়েছি। তাই আশাবাদী।' জোফ্রা আর্চারকে রান আউট করার সময় হালকা চোট পান রিঙ্কু সিং। বরুণ জানান, চিন্তার কোনও কারণ নেই। পরের ম্যাচের আগে ঠিক হয়ে যাবেন রিঙ্কু।
