আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঁচে থাকার জন্য জল অপরিহার্য। পৃথিবীরও তিনভাগ জল, একভাগ স্থল। ফলে জলের গুরুত্ব অপরিসীম। এক লিটার জল কিনতে আমাদের কত খরচ হয়? খুব বেশি হলে ২০ বা ৩০ টাকা। কিন্তু আমাদের পৃথিবীতে এমনও জল আছে যার ৭৫০ মিলিলিটারের দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা! অবাক হচ্ছেন তো? গল্প নয়, সত্যি। কেমন সেই জল? কেন এত দাম, কোথায় পাওয়া যায়? 

গিনেস বুক অফ রেকর্ডস বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল জল হল অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবুটো আমদিগ্লিয়ানি।  

এই জলের কেন এত দাম? এবার তা খোলসা করা যাক। অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আমদিগ্লিয়ানি বিশ্বের সবচেয়ে দামি জলের মধ্যে একটি। বোতলবন্দি ওই জল আসে ফ্রান্স এবং ফিজি থেকে। দাবি করা হয়েছে যে, এই পানীয় জলে স্বর্ণভস্ম মেসানো আছে। ৫ গ্রাম স্বর্ণভস্ম থাকে এতে। যা মানবদেহের পক্ষে খুবই স্বাস্থ্যকর। সে জন্যই এই জলের দাম এত বেশি। 

এই জলের বোতলের অত্যধিক দামের নেপথ্যে মূল কারণ হল এই কাঁচের বোতলটি ২৪ক্যারেট সোনায় মোড়া রয়েছে। তাছাড়া এই জলের মূল্য নির্ধারণের পিছনে দ্বিতীয় কারণ হল, এটির নকশা করেন বিখ্যাত বোতল ডিজাইনার ফার্নান্দো আলতামিরানো। যিনি প্রয়াত ইতালীয় শিল্পী অ্যামেডিও ক্লেমেন্টে মোদিগ্লিয়ানিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

এই জলের বোতলটি ২০১০ সালের ৪ঠা মার্চে মার্কিন ডলার ৬০,০০০-এ নিলামে বিক্রি হয়৷ এই নিলামটি প্ল্যানেট ফাউন্ডেশন এ.সি. দ্বারা লা হ্যাসিন্ডা দে লস মোরালেস, মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকোতে আয়োজিত হয়েছিল৷ এই নিলাম থেকে উত্থাপিত সমস্ত তহবিল প্ল্যানেট ফাউন্ডেশনে গ্লোবাল ওয়ার্মিং মোকাবিলায় জন্য দান করা হয়।

অন্যান্য মিনারেল ওয়াটার ব্র্যান্ড থেকে এই জল কতটা আলাদা? বলা হয়ে থাকে, এই বোতলের জল দু'টি জায়গার ঝর্ণার জলের মিশ্রণ- ফিজি এবং ফ্রান্স। যদিও রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এই জলের মধ্যে রয়েছে ৫ গ্রাম অর্থাৎ ২৩ ক্যারেট সোনার ছাই এবং আইসল্যান্ডের হিমবাহের জল। যখন সোনা মিনারেল ওয়াটারের সঙ্গে মিশে যায়, তখন এটি জলে ক্ষারত্ব যোগ করে এবং বিশ্বের অন্য যেকোনও পানীয়ের চেয়ে বেশি শক্তি প্রদান করে। স্বচ্ছতা, স্বাদ এবং মসৃণতায় অন্য পানীয় জলের থেকে আলাদা করে। 

এই জল পানের উপকারিতা? এই জল পান করলে উদ্দমী হয়ে ওয়া সম্ভব, ওজন কমে, ত্বক ভাল থাকে। এমনকি তেষ্টা মেটানোতেও এর জুড়ি মেলা ভার।