আজকাল ওয়েবডেস্ক: আন্টার্কটিকা হল এমন একটি জায়গা যেখানে পৃথিবীর প্রচুর আশ্চর্য কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে। এখানে এসে সেইসব কাহিনীকে চোখের সামনে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন গোটা আন্টার্কটিকা জুড়ে এমন অনেক রহস্য রয়েছে যা সামনে এলে হয়তো মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই তাদেরকে সামনে না নিয়ে আসাই ভাল।

 


যেখানে বরফের চাদর ঢেকে রেখেছে সকল দিককে সেখানে রক্ত কীভাবে আসতে পারে। তবে এটাই হল চরম সত্যি। এখানে রয়েছে একটি রক্তের জলপ্রপাত। এটি লাল রঙের জলপ্রপাত সামনের একটি লেক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে কীভাবে এখানে এই ধরণের রঙের জলপ্রপাত তৈরি হল। 

 


ফোর্বসের মতে রক্তের জলপ্রপাত প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল ১১০ বছর আগে। একজন ভৌগলিক বিজ্ঞানী গিরিফথ টেলর এই কাজটি করেছিলেন। তার নাম থেকেই এই জলপ্রপাতের নাম হয়েছে টেলর ভ্যালি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন লাল রঙের এই জলপ্রপাতের কারণ হল এখানকার জলে প্রচুর পরিমানে লোহা রয়েছে। এই লোহা অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে লাল রং হয়ে গিয়েছে। ফলে যদি কেউ এটিকে দেখেন তাহলে তিনি দেখবেন লাল রঙের জলপ্রপাত বয়ে চলেছে। 


বিজ্ঞানীদের মনে আরও একটি বিষয় প্রশ্ন জাগিয়েছে। তারা মনে করছেন এই এলাকায় যে তাপমাত্রা রয়েছে তার জন্যেও এখানে লোহার মাত্রা বেসি হয়েছে। বর্তমানে এখানে তাপমাত্রা রয়েছে মাইনাস ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এখানে সেই দিকটি যদি দেখা যায় তাহলে জলকে বরফ হতে বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়। তবে লোহার মাত্রা বেশি থাকার জন্য এখানে সেই কাজটি হচ্ছে না। 


২০০৩ সালে দেখা যায় জল এখানে লোহার পাশাপাশি নুনের মাত্রা অনেক বেশি করে ধরে রেখেছে। যার ফলে এখানকার জল সহজে বরফ হতে পারছে না। তাই এখানকার জলপ্রপাতটি অতি সহজে নিজের ছন্দে বয়ে যেতে পারছে। সমুদ্রে জল এখানকার একটি লেকে প্রবেশ করছে। সেখান থেকে নানা ধরণের ব্যাকটেরিয়াও প্রবেশ করছে। তারা এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিতে নিতে পারছে না। ফলে তাদের দেহের অংশ বরফের সঙ্গে না মিশে লোহার সঙ্গে মিশছে।